বয়স বাড়ার সাথে সাথে ত্বকে বার্ধক্য দেখা দেবে এটাই স্বাভাবিক। অনেকের আবার বয়সের আগেই ত্বক বুড়িয়ে যেতে শুরু করে। কারও যদি ত্রিশ বছর বয়সের আগে মুখে বয়সের ছাপ পড়তে থাকে, তাহলে হালকা ভাবে নেবেন না। সেক্ষেত্রে ত্বকের ব্যাপারে আরও যত্নশীল হতে হবে।
দৈনন্দিন জীবনে কিছু বদভ্যাস আছে যেগুলো ত্বকের অকাল বার্ধক্যে ভূমিকা রাখে। যেমন-
সানস্ক্রিন: সানস্ক্রিন ছাড়া রোদে বেরোনো বিপজ্জনক। ইউভি রশ্মি ত্বকে দ্রুত বার্ধক্য ডেকে আনে। সেই সঙ্গে পিগমেন্টেশন ও রিংকেলের সমস্যা বাড়ায়। রোদে বের হন বা বাড়িতে থাকুন, ত্বকের যত্নে সকালে সানস্ক্রিন মাখা অপরিহার্য।
মানসিক চাপ: মানসিক চাপ বাড়লে হরমোনের ভারসাম্যহীনতা দেখা দেয়। এর প্রভাব ত্বকেও পড়ে। মানসিক চাপের কারণে ত্বকও নিস্তেজ ও প্রাণহীন দেখায়। ত্বক ভালো রাখতে গেলে মানসিক স্বাস্থ্যের খেয়াল রাখতে হবে।
শুষ্ক ত্বক: সাধারণত শুষ্ক ত্বক সময়ের আগে বুড়িয়ে যায়। আর্দ্রতাহীন ত্বকে দ্রুত বলিরেখা, ত্বকে ভাজ পড়া, পড়ে, চামড়া কুঁচকে যায়। এই কারণেই শীত হোক বা বর্ষা, ত্বককে ময়েশ্চারাইজ করা দরকার।
অনিন্দ্রা: আজকাল অনেকেই বেশি দেরীতে ঘুমাতে যান। এতে ঘুম ঠিক মতো হয় না, তখন ত্বকের উপর চাপ পড়ে। ঘুমের অভাবে ত্বক পুনরুজ্জীবিত হতে পারে না। তখনই বলিরেখা, ডার্ক সার্কেলের মতো সমস্যা দেখা দেয়।
মধ্যপান ও ধূমপান: মদ্যপান ও ধূমপানের মতো বদভ্যাস ত্বকের মারাত্মক ক্ষতি করে। এসব বদভ্যাস ত্বকের উপর চাপ সৃষ্টি করে, ত্বককে শুষ্ক করে তোলে। ত্বককে ভালো রাখতে চাইলে মদ্যপান ও ধূমপান থেকে দূরে থাকুন।
অতিরিক্ত প্রসাধনী ব্যবহার: অত্যধিক পরিমাণে প্রসাধনী ব্যবহার করলে ত্বকের অবস্থা খারাপ হতে থাকে। এতে র্যাশের সমস্যা বাড়ে। কোলাজেন ও সেবামের উৎপাদন কমে যায়। এর ফলে দেখা দেয় ত্বকের বার্ধক্য।
পুষ্টির ঘাটতি: ত্বককে ভালো রাখতে গেলে ভিটামিন এ, বি, সি, ডি থেকে শুরু করে আয়রন, ফাইবার, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সব ধরনের পুষ্টি অপরিহার্য। যে কোনও পুষ্টির ঘাটতিই ত্বকের সমস্যা বাড়াতে পারে।