কক্সবাজারের টেকনাফ, উখিয়া ও নাইক্ষ্যংছড়ি সহ সীমান্তের অনন্ত ৩০ পয়েন্ট দিয়ে আবারও বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করছে রোহিঙ্গা। এ ছাড়া মিয়ানমারের সীমান্ত এলাকায় অন্তত ৪০ হাজার রোহিঙ্গা বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের অপেক্ষায় রয়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
মিয়ানমারে চলমান অভ্যন্তরীণ সংঘাতের কারণে হাজারো রোহিঙ্গা উখিয়া, টেকনাফ, নাইক্ষ্যংছড়িসহ অন্তত ৩০ পয়েন্টে, বিজিবি ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর চোখ ফাঁকি দিয়ে প্রতিদিন অনুপ্রবেশ করছে বাংলাদেশে। গত এক মাসে প্রায় ৮ হাজার রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ হয়।
এপারে মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে দালালরা রোহিঙ্গা নিয়ে আসছে বলেও অভিযোগ উঠেছে। অনুপ্রবেশ করা এসব রোহিঙ্গারা উখিয়া-টেকনাফের বিভিন্ন ক্যাম্পে আশ্রয় নিচ্ছে।
এদিকে, রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশের কারণে স্থানীয়দের তৈরি হয়েছে নানা সমস্যা। অনিরাপদ হয়ে উঠেছে উখিয়া-টেকনাফের জনপদ। ক্যাম্পে বেড়েছে সন্ত্রাসী বাহিনীর অরাজকতা ও অপরাধ।
উখিয়ার পালংখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এম গফুর উদ্দিন চৌধুরী বলেন, রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ ঠেকাতে না পারলে স্থানীয়দের শরনার্থী হয়ে অন্যত্র আশ্রয় নিতে হতে হবে।
এপিবিএনের অধিনায়ক ও অতিরিক্ত ডিআইজি আমির জাফর জানান, ক্যাম্পে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে যৌথ অভিযোগও পরিচালনা করা হচ্ছে।
বাংলাদেশে প্রবেশের জন্য প্রস্তুতি নিয়েছে আরও ৩০-৪০ হাজার রোহিঙ্গা। এই অনুপ্রবেশ ঠেকাতে ও আশ্রয় নেওয়া সকল রোহিঙ্গাদের দ্রুত প্রত্যাবাসনের অনুরোধ স্থানীয়দের।