দিনাজপুরের খানসামায় আমিনুল ইসলাম বাবু (৩০) নামের এক ব্যবসায়ীকে সমন্বয়ক পরিচয়ে পিটিয়ে জখম করে টাকা ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
সোমবার (৩১ মার্চ) সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার দিকে উপজেলার জিয়া সেতুর পশ্চিম ঘাট পাড়ে এ ঘটনা ঘটে।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ভুক্তভোগী ওই আমিনুল ইসলাম বাবু পার্শ্ববর্তী বীরগঞ্জ উপজেলার চিলকুড়া গ্রামের বাসিন্দা। তিনি ব্যবসায়ীক কাজে ব্যক্তিগত প্রাইডভেট কারে ছোট ভাই সোহানুর রহমান সোহান, ভাতিজা রিয়াদ ও শরিফুল ইসলাম সহ পার্শ্ববর্তী নীলফামারিতে যাওয়ার পথে মোটর সাইকেলে রং সাইট থেকে আশা মটর্স এ কর্মরত আরিফ শাহ সহ ৫ থেকে ৬ জন বেপরোয়া গতিতে এসে তার প্রাইভেট কারের বডিতে ধাক্কা দেয়।
আরিফ শাহ’র কাছে রং সাইট থেকে আসার কারণ জানতে চাইলে তার সাথে থাকা সবাই অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে। সে প্রতিবাদ করলে মুঠোফোনে গোবিন্দপুর এলাকার আজগার মাষ্টারের ছেলে ত্বহা (২৩) ও আবুল কালাম মাষ্টারের ছেলে পরশ (২৪) কে আসতে বলে আরিফ।
ঘটনাস্থলে এসে তারা নিজেদেরকে সমন্বয়ক পরিচয়ে হুমকি দিতে থাকে। আমিনুল ইসলাম বাবু তার প্রতিবাদ করলে সমন্বয়ক পরিচয় দেওয়া ত্বহা ও পরশের নেতৃত্বে আরিফ শাহ’র সাথে থাকা বাকিরা মিলে প্রাইভেট কারের সবাই কে এলোপাথারী মারপিট করে জখম করে।
পরে ত্বহা ও আরিফ শাহ’র হাতে থাকা লাঠি দিয়ে প্রাইভার কার ভাংচুর করে। এ সময় তাঁর প্রাইডভেট কারে থাকা দুই লক্ষ টাকা ছিনিয়ে নেয়।
এ বিষয়ে ত্বহা বলেন, ঈদের দিন বিকেলে জিয়া সেতুতে প্রচুর যানজট হওয়াতে পরশ সহ চার পাঁচজন সেই যানজট নিরসনের জন্য ট্রাফিকের দায়িত্ব পালন করছিল। প্রাইভেটকারটি রং সাইট দিয়ে আসাতে আরিফ শাহ’র মোটরসাইকেলে ধাক্কা লাগে। আরিফ শাহ’র মোটরসাইকেলে থাকা একজন ব্যক্তির সাথে প্রাইভেট কারের ড্রাইভারের তর্ক লাগে এক পর্যায়ে তাকে হিট করে। পরে আরিফ শাহ’ এসে তাদের কে মারপিট করে। সেখানে আরিফ শাহ’র ভাই লিটন শাহ ও শফিকুল আসলে লিটন শাহ প্রাইভেট কারের লুকিং গ্লাস ভেঙে প্রাইভেট কারের সামনের গ্লাসে আঘাত করে।
তিনি আরো বলেন, থানায় করা অভিযোগে আমরা সমন্বয়ক পরিচয় দেইনি। তাছাড়া আরিফ শাহ খানসামা উপজেলার ভেড়ভেড়ী ইউনিয়ন বিএনপির যুবদলের যুগ্ন আহ্বায়ক ও আশা সেকেন্ড হ্যান্ড মটরস সাইকেল শোরুমের মালিক। আর সেই কারণে তাদের নামটি প্রকাশ করতে পারছে না।
এ বিষয় আরিফ শাহ বলেন, জিয়া সেতুর পূর্ব পাশ থেকে পশ্চিম পাশে যাওয়ার পথে ইতিমধ্যে একটি প্রাইভেট কার এসে মোটর সাইকেলে লাগিয়ে দেয়। বাম পাশে জায়গা থাকার পরেও মোটর সাইকেলের ধাক্কা দেওয়ার বিষয় নিয়ে কথা কাটাকাটি হয়। ইতিমধ্যে আমরা চলে যাচ্ছি তখন প্রাইভেট কার থেকে নেমে পিছনে থাকা মোটরসাইকেলে আমার চাচা মোয়াজ্জেম কে আঘাত করে। স্থানীয় সাধারণ মানুষরা তাদের প্রতি ক্ষিপ্ত হয়। তবে গাড়ি ভাঙচুরের বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন কে বা কারা ভাঙচুর করেছে তা আমার জানা নেই।
এ বিষয়ে খানসামা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নজমূল হক বলেন, অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত সাপেক্ষে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
পড়ুন : দিনাজপুরে ডিউটি থেকে ফেরার পথে বাস চাপায় পুলিশ সার্জেন্ট নিহত