উত্তরের জেলাগুলোতে ঘন কুয়াশার সঙ্গে বেড়েছে শীতের দাপট। এতে বিপাকে পড়ে খেটে খাওয়া মানুষ।
দুপুরে একটু গরম ও রাতে তীব্র শীতের কারণে বেড়েছে ঠান্ডাজনিত বিভিন্ন রোগব্যাধি। খানসামা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সেসহ জেলার বিভিন্ন হাসপাতালে শিশু ও বয়স্করা সর্দি, কাশি, নিউমোনিয়া ও ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
দিনাজপুরে টানা কয়েকদিন ধরে কমছে রাতের তাপমাত্রা। কুয়াশা পড়ছে রাতের শুরু থেকে সকাল পর্যন্ত। কুয়াশার কারণে সন্ধ্যার পর থেকে বেশ ঠান্ডা অনুভূত হয়।
রোববার (৮ ডিসেম্বর) সকাল ৬টায় ১৩ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করেছে দিনাজপুর আবহাওয়া অফিস। এর আগে শনিবার এ জেলায় তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ১০ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
কুয়াশা: সৈয়দপুরে বিমান চলাচলে বিঘ্ন
ঘন কুয়াশায় ঢাকা পড়েছে উত্তরের জনপদ নীলফামারী। ফলে আজ রোববার সকালে ঢাকার উদ্দেশে কোনো উড়োজাহাজ সৈয়দপুর বিমানবন্দর ছাড়েনি। এখানেও কোনো উড়োজাহাজ আসেনি। বিমাবন্দরে অপেক্ষায় আছেন যাত্রীরা। মহাসড়কে গাড়ি চলছে হেডলাইট জ্বালিয়ে।
জেলার সৈয়দপুর আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা লোকমান হাকিম বলেন, আজ সকাল ৬টায় তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৪ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। উড়োজাহাজ চলাচলের জন্য কমপক্ষে ২০০০ মিটার ভিজিবিলিটি (দৃষ্টিসীমা) প্রয়োজন হয়। তবে এখানে এখন দৃষ্টিসীমা মাত্র ৫০ মিটার। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে পরিস্থিতির উন্নতি হলে উড়োজাহাজ চলাচল স্বাভাবিক হতে পারে।
সৈয়দপুর বিমানবন্দরের ব্যবস্থাপক এ কে এম বাহাউদ্দিন জাকারিয়া জানান, এখনো কোনো ফ্লাইট বাতিল করা হয়নি। দুপুরের দিকে আবহাওয়ার উন্নতি হলে উড়োজাহাজ চলাচল স্বাভাবিক হতে পারে।
১১ ডিগ্রির ঘরে নামল পঞ্চগড়ের তাপমাত্রার
শীতে কাঁপছে উত্তরের হিমপ্রবণ জেলা পঞ্চগড়ে। রাতভর বৃষ্টির মতো ঝরতে থাকে কুয়াশার শিশির। খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করেন গ্রামাঞ্চলের হতদরিদ্র মানুষগুলো।
রোববার (৮ ডিসেম্বর)সকাল ৯টায় তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ১১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এর ভোর ৬টায় রেকর্ড করা হয় ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তিন দিন পর ১২ ডিগ্রি ঘর থেকে ১১ ডিগ্রির ঘরে নামল তাপমাত্রা। জেলার প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার তেঁতুলিয়া অফিস এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
পঞ্চগড়ের প্রথম প্রেণির তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জিতেন্দ্র নাথ বলেন, গত তিন দিন ১২ ডিগ্রির ঘরে তাপমাত্রা রেকর্ডের পর রোববার সকাল ৯টায় ১১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড হয়েছে। গতকাল শনিবার রেকর্ড হয়েছিল ১২ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আজ ভোরেই সূর্য দেখা গেছে।
কুড়িগ্রামে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস
কুড়িগ্রামেও শীত জেঁকে বসেছে। শীতের দাপট ও ঘনকুয়াশায় থমকে গেছে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা। মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত কুয়াশায় ঢাকা থাকছে বিভিন্ন এলাকা।
আজ রবিবার সকাল ৭টায় জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
কুড়িগ্রাম আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র সরকার বলেন, ‘গত ১৫ দিন ধরে এই অঞ্চলের তাপমাত্রা ১২-১৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস ওঠা-নামা করছে। যা আগামীতে আরও কমার সম্ভাবনা আছে।’