তিন ম্যাচ টেস্ট সিরিজের প্রথম দুই ম্যাচ হেরে আগেই সিরিজ হাতছাড়া হয়ে যায় ভারতের। মুম্বাইয়ে শেষ টেস্টের চতুর্থ ইনিংসে ভারতকে জিততে মাত্র ১৪৭ রানের লক্ষ্য দিয়েছিলো নিউজিল্যান্ড। ছোট লক্ষ্য তাড়া করতে নেমেও হোয়াইটওয়াশ এড়াতে পারলো না ভারত। তিন ম্যাচ সিরিজের শেষ টেস্টে ২৫ রানে হেরে ২৪ বছর পর নিজেদের মাটিতে ৩-০ ব্যবধানে ধবলধোলাই হলো রোহিতের দল।
৩ অক্টোবর, রবিবার ভারত যদি ১৪৭ রানের লক্ষ্য টপকে জিততে পারতো, তাহলে ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামের ইতিহাসে এটি হতো রান তাড়ায় দ্বিতীয় সর্বোচ্চ জয়।
এদিন রান তাড়া করতে নেমে ম্যাচ থেকে শুরুতেই ছিটকে যায় ভারত। দলীয় ২৯ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে ফেলে স্বাগতিকরা। এরপর ধ্বংস্তূপে দাঁড়িয়ে রিশাভ পান্ত ৫৭ বলে ৬৪ রান করলেও শেষ রক্ষা করতে পারেননি ভারতের। শেষমেশ রোহিত শর্মার দল গুটিয়ে যায় ১২১ রানে।
দলীয় ১৩ রানে আউট হন ওপেনার রোহিত শর্মা (১১ বলে ১১)। এরপর ১৬ রান যোগ করতেই আরও ৪ টপঅর্ডারকে হারায় ভারত। রোহিতের পেছনে আসা-যাওয়ার মিছিলে যোগ দেন শুভমান গিল (৪ বলে ১), বিরাট কোহলি (৭ বলে ১) যসস্বি জয়সওয়াল (১৬ বলে ৫) ও সরফরাজ খান (২ বলে ১)।
এরপর ষষ্ঠ উইকেটে রবীন্দ্র জাদেজাকে নিয়ে ৪২ রানের জুটি গড়েন পান্ত। এই দুইজনের ব্যাটে কিছুটা আশা দেখছিল ভারতীয় সমর্থকরা। তবে ২২ বলে ৬ রান করে জাদেজা আউট হয়ে গেলে ফের চাপে পড়ে ভারত।
এরপর ওয়াশিংটন সুন্দরকে নিয়ে লড়াই করেন পান্ত। সপ্তম উইকেটের এই জুটিতে ৩৫ রান তোলেন তারা। আইজাজ প্যাটেলের বলে উইকেটরক্ষক টম ব্লান্ডেলের হাতে পান্ত ধরা পড়লে এই জুটি ভাঙে।
শেষদিকে ৪ বলে ৩ উইকেট হারায় ভারত। ২৯তম ওভারের চতুর্থ ও পঞ্চম বলে রবিচন্দ্রন অশ্বিন ও আকাশ দীপকে আউট করেন গ্লেন ফিলিপস। পরের ওভারের প্রথম বলে প্যাটেলের বলে ওয়াশিংটন সুন্দর আউট হলে শেষ হয় ভারতের ইনিংস।
ভারতকে মূলত ধসিয়ে দেন নিউজিল্যান্ড স্পিনার অ্যাজাজ প্যাটেল। একাই ৬ উইকেট নেন এই বাঁহাতি। এছাড়া ৩ উইকেট শিকার করেন গ্লেন ফিলিপস ও ১ উইকেট নেন ম্যাট হেনরি।
এর আগে ১৯৯৯-২০০০ মৌসুমে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ২-০ ব্যবধানে হোয়াইটওয়াশ হয়েছিল ভারতীয়রা। তবে ৩-০ ব্যবধানে এবারই প্রথম ঘরের মাঠে ধবলধোলাই হলো দলটি।