হাসিনা সরকারের অন্যতম আলোচিত পুলিশ অফিসার ডিবি হারুণ এখন কোথায় আছেন? সেটা জানা না গেলেও এবার বেরিয়ে এসেছে আরব আমিরাতে তার বিশাল সম্রাজ্যের তথ্য। আর এই তথ্যগুলো নাগরিক টেলিভিশনের কাছে প্রকাশ করেছেন তারই সহযোগি সাকিব আহমেদ এবং দুবাইয়ের আলোচিত বাংলাদেশি ব্যবসায়ী আরাভ খান।
আরাভ খানের ভাস্যমতে, আরব আমিরাতে ডিবি হারুনের ৩ হাজার ৭০০ কোটি টাকার মতো সম্পদ রয়েছে। দুবাইয়ের বিজনেস- বে এলাকায় তার রয়েছে ৩০০ কোটি টাকার একটি বিজনেস সেন্টার। আজমানের হেলো ও ইয়াসমিন নামে দুটি আবাসন প্রজেক্টে ১৭টি বিল্ডিংয়ে শেয়ার রয়েছে হারুনের। আর এসব সম্পদের বেশির ভাগই তিনি করেছেন বেশ কয়েকজন ভারতীয় নাগরিকের নামে। দুবাইয়ের নাম করা কিছু রিয়েল এস্টেট প্রতিষ্ঠানের সাথেও ডিবি হারুনের যৌথ ব্যবসা রয়েছে বলে উল্লেখ করেন আরাভ খান।
এদিকে দুবাইর একাধিক ক্যাবার কিংবা ডান্সবারেও রয়েছে হারুণের বেনাম মালিকানা। এমনটাই দাবি করেছেন একাধিক সূত্র। আর এসব ডান্সবারে মনোরঞ্জনের জন্য রাখা হয়েছে বাংলাদেশী তরুণীদের। পাশাপাশি দেশ থেকে অনেক তারকারা গিয়েও সোভা বর্ধন করতেন হারুনের ডিসকোগুলোতে।
জানা গেছে, বিলাসবহুল এই শহরে হারুনের বিনিয়োগ রয়েছে আবাসিক হোটেল, প্রোপার্টিজ, ক্যাসিনো, ডান্স ক্লাব এবং মুজরা ব্যবসায়। শুধু তাই নয় বাংলাদেশ থেকে তারকাদের নিয়ে গিয়ে দুবাইতে বিভিন্ন শো করার আয়োজনেও বিনিয়োগ করতেন হারুণ। এমন তথ্যই জানিয়েছেন দুবাই অবস্থানরত তার সহযোগীরা।
এদিকে আরাভ খান নাগরিক টিভিকে জানান, যে হত্যা মামলার অপবাদ নিয়ে এখন তিনি দুবাই অবস্থান করছেন সেই মামলার কারনেই হারুণ অর রশিদ বাংলাদেশে আরাভ খানের ১৬ কোটি টাকা দামের বাড়ি লিখে নিয়েছেন। এছাড়া বলিউডের সিনেমায়ও হারুণ নিয়মিত বিনিয়োগ করতেন বলে দাবি করেন আরাভ খান।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, হারুনের পাশাপাশি সাবেক এসবি প্রধান মুনিরুল ইসলাম এবং সাবেক আইজিপি বেনজিরেরও রয়েছে ভিন্ন ভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে বিশাল অংকের বিনিয়োগ। আর তাদের এসব অপকর্মের হোতা ছিল দুবাইতে অবস্থানরত কয়েকজন প্রবাসী যুবক। ডিবি হারুন, মনিরুল ইসলাম আর বেনজিরের পাচারের টাকায় তারা বেকার,ভবঘুরে প্রবাসী যুবক থেকে এখন কোটিপতি বনে গিয়েছেন বলে দাবি করেন প্রবাসীরা।
এদিকে নাগরিক টেলিভিশনকে ডিবি হারুণকে নিয়ে চমকপ্রদ সব তথ্য দিয়েছেন দুবাইতে অবস্থানরত হারুনেরই এক সময়ের অত্যান্ত ঘনিষ্ঠ সহযোগী হিসেবে খ্যাত সাকিব আহমেদ। তিনি স্বীকার করেন, সাবেক ডিবি প্রধান হারুন তাকে বিভিন্ন জনের কাছ থেকে টাকা পয়সা আদায় করতে ব্যবহার করতেন। তবে কখনো টাকার ভাগ দিতেন না।
জানা গেছে, দেরা দুবাইয়ের ভ্যান্টা ক্যালিফোর্নিয়া হোটেলে হারুনের ছিলো অবাধ যাতায়াত। সূত্র মতে, এইসব হোটেলের মালিকানায় রয়েছেন ডিবি হারুনের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ সহযোগী আরিফ মিয়াজী, মুমিনুল হক মিলন নামের দুই প্রবাসী বাংলাদেশি। এছাড়া, দুবাইতে হারুণের এই সব সহযোগিদের মাধ্যমে শো-করার নামে বাংলাদেশ থেকে হরহামেশা তারকাদের নিয়ে যাওয়া হতো বলে জানা গেছে