রাজধানীর যানজট নিরসনে চালু হয়েছে আন্তঃজেলা বাসের গেটলক ব্যবস্থা। মহাখালী থেকে বনানী পর্যন্ত থাকছে এই নিয়ম। এই পথে যত্রতত্র যাত্রী তুললে ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানিয়েছে পুলিশ। তবে কাজীর গরু কেবল কাগজেই। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, আইন-জরিমানা করে যানজট কমানো কঠিন।
এক সিদ্ধান্তেই পাল্টে গেছে রাজধানীর মহাখালী বাস টার্মিনাল এলাকার যানজটের চিরচেনা রূপ। যাত্রীদের মধ্যে বাসে উঠার হুড়োহুড়ি নেই। সড়কের ওপর দাঁড়িয়ে বাসের চালক-সহকারীদেরও হাকডাক নেই।
মহাখালী বাসস্ট্যান্ড থেকে ছেড়ে আসা বাসগুলো বনানী পযর্ন্ত কোথাও না দাঁড়ানোর কথা। কাউন্টারের বাইরে যাতে যাত্রী তোলা না হয়, এই উদ্দেশে গেটলক সার্ভিস চালু করা হয়। কিন্তু কে শোনে কার কথা? মহাখালী পার হয়ে আমতলী বা চেয়ারম্যান বাড়ি এলাকা আসতেই আগের রূপে চালক-সহকারীরা।
রাজধানীর মোহাম্মদপুর বাসস্ট্যান্ড ও আশপাশের এলাকায় যানজট লেগেই থাকত। ফলে দুর্ভোগের সম্মুখীন হতে হয়েছে সাধারণ মানুষের। তবে সম্প্রতি তেজগাঁও ট্রাফিক বিভাগের নুতন পরিকল্পনায় কমে এসেছে মোহাম্মদপুরের আগের চিরচেনা যানজট।
মোহাম্মদপুর বাসস্ট্যান্ড থেকে সকল গণপরিবহনের অস্থায়ী পার্কিং অপসারণ। অবৈধ হকার উচ্ছেদ ও মোহাম্মদপুর বাসস্ট্যান্ড কেন্দ্রিক নতুন সার্কুলেশন প্ল্যানের মাধ্যমে পরিকল্পনা বাস্তবায়নের উদ্যোগ নিয়েছে তেজগাঁও ট্রাফিক বিভাগ।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, যতক্ষণ পর্যন্ত যাত্রীদের মধ্যে সচেনতা এবং চালকদের আইন মানার প্রবণতা তৈরি না হবে, ততক্ষণ পর্যন্ত এই সার্ভিসের সুফল পাওয়া যাবে না। শুধু আইন ও জরিমানা করে যানজট নিরসন করা কঠিন।