বাজারে দুই সপ্তাহ ধরে বাড়ছে পেঁয়াজের দাম। সরবরাহ কমে যাওয়ায় এক সপ্তাহের ব্যবধানে ঢাকার কারওয়ান বাজারে দেশি পেঁয়াজের দাম কেজিতে ২৫ থেকে ৩০ টাকা বেড়েছে।
ব্যবসায়ীরা জানান, আমদানি করা পেঁয়াজের পর্যাপ্ত সরবরাহ আছে। আমদানি করা পেঁয়াজের দামও তুলনামূলকভাবে কম। কিন্তু মানুষ দেশি পেঁয়াজ কিনতে বেশি আগ্রহী। এতে করে আমদানি করা পেঁয়াজ ও দেশি পেঁয়াজের দামের মধ্যে ফারাক তৈরি হয়েছে।
মৌসুম শেষে কৃষকের ঘরে এখন পেঁয়াজের মজুত কম। ফলে বাজারে দেশি পেঁয়াজের সরবরাহ কমেছে। আবার অতিবৃষ্টির কারণে নতুন পেঁয়াজ বপনে দেরি হচ্ছে। অন্যদিকে আমদানি করা পেঁয়াজের দামও কিছুটা বাড়তি। এসব কারণে বাজারে এখন পেঁয়াজের দাম বেশি।
আমদানি স্বাভাবিক, হিলি বন্দরে বেড়েছে পেঁয়াজের দাম
ভারত থেকে আমদানি স্বাভাবিক থাকলেও দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর বাজারে বেড়েছে পেঁয়াজের দাম। তিন দিনের ব্যবধানে প্রকারভেদে প্রতি কেজি পেঁয়াজের দাম বেড়েছে ১০ থেকে ১২ টাকা।
দেশি পেঁয়াজের দাম বাড়ায় আমদানিকৃত ভারতীয় পেঁয়াজের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে বলে জানিয়েছেন আমদানিকারকরা। এদিকে হঠাৎ দাম বাড়ায় বিপাকে বন্দরে পেঁয়াজ কিনতে আসা পাইকাররা।
হিলি বাজারে পেঁয়াজ পাইকারি ব্যবসায়ী শাকিল আহম্মেদ বলেন, বন্দরে কোনো অযুহাত ছাড়াই আমদানিকারকরা হঠাৎ করে পেঁয়াজের দাম বাড়িয়ে দিয়েছে। গত বৃহস্পতিবার বন্দরে পাইকারিতে যেসব পেঁয়াজ ৮৫ থেকে ৯০ টাকা কেজি হিসেবে কিনেছি আজ সেই পেঁয়াজ ৯৫ থেকে ১০০ টাকায় কিনতে হচ্ছে।
বৃষ্টিতে পিছিয়ে গেছে মুড়িকাটা পেঁয়াজের আবাদ
প্রতি বছর সেপ্টেম্বরের শেষ ও অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহের মধ্যে আগাম জাতের মুড়িকাটা পেঁয়াজের আবাদ শুরু করেন রাজবাড়ীর চাষিরা।
রোপণের ৯০ দিনের মধ্যে তোলা যায় বলে একটু বেশি লাভের আশায় চাষিরা এ জাতের পেঁয়াজের আগাম চাষ করেন।
কিন্তু এবার সেপ্টেম্বর ও অক্টোবরে কয়েক দফায় অতিবৃষ্টির কারণে রাজবাড়ীতে এ জাতের পেঁয়াজের আবাদ শুরু হয়েছে বেশ দেরিতে। এতে ফলন ও বাজারে দাম কম পাওয়ার শঙ্কায় আছেন চাষিরা।