মাগুরায় চাঞ্চল্যকর আট বছরের শিশু আছিয়া ধর্ষণকান্ডে দায় স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছে ধর্ষক হিটু শেখ (৪২)।
আজ শনিবার (১৫ মার্চ) বিকালে মাগুরার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সব্যসাচী রায়ের আদালতে হাজির হয়ে এই স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয় প্রধান আসামি হিটু শেখ।

এর আগে এই ঘটনার সাথে জড়িত সন্দেহে মূল সন্দেহভাজন হিটু শেখ সহ বোনের স্বামী সজীব শেখ, বোনের শাশুড়ি ও স্বামীর বড় ভাই রাতুলকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠায় পুলিশ। আদালতে প্রধান আসামির সাত দিন ও বাকি তিন আসামির পাঁচ দিন করে রিমান্ড দেয় আদালত।
মঙ্গলবার (১১ মার্চ) তাদের ঢাকায় সিআইডির ডিএনএ প্রোফাইলিং ল্যাবরেটরিতে নিয়ে যাওয়া হয়। একই সঙ্গে ভুক্তভোগী শিশুর ডিএনএ নমুনাও জমা দেওয়া হয় বলে জানায় মাগুরার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. মিরাজুল ইসলাম।
তিনি আরও জানান, বৃহস্পতিবার ভুক্তভোগী শিশুকে যখন মাগুরা ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে ভর্তি করা হয়, তখনই তাঁর ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছিল। আসামিদের মধ্যে একজন নারী। তিনি ছাড়া বাকি যে তিনজন পুরুষ আসামি রয়েছেন তাদের ডিএনএ নমুনা সংগ্রহের জন্য ঢাকা সিআইডি ডিএনএ ল্যাবে পাঠানো হয়। তাদের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, গত (৬ মার্চ) বৃহস্পতিবার শহরের নিজনান্দুয়ালী এলাকায় ৮ বছরের শিশু আছিয়া ধর্ষণের শিকার হয়। প্রাথমিক অবস্থায় তাকে মাগুরা ২৫০ শয্যা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অবস্থার অবনতি ঘটলে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজে স্থানান্তরিত করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে আইসিইউ থেকে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হলে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) মারা যায় শিশু আছিয়া।
এঘটনায় আছিয়ার মৃত্যুর খবরে অভিযুক্ত হিটু শেখের বাড়িতে আগুন দেয় এবং বাড়িঘরে ভাংচুর চালায় বিক্ষুদ্ধ জনতা।
এনএ/