যুক্তরাষ্ট্রের উত্তর-পশ্চিম উপকূলের কয়েকটি অঙ্গরাজ্যে ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় ‘বোম্ব’। এই তথ্য নিশ্চিত করেছে দেশটির আবহাওয়া পূর্বাভাস কেন্দ্র। খবর বিবিসি
আজ বুধবার (২০ নভেম্বর) এ খবর জানিয়েছে বিবিসির এক প্রতিবেদন।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রশান্ত মহাসাগর-সংলগ্ন মার্কিন অঙ্গরাজ্যগুলোতে দমকা বাতাস, ভারী বৃষ্টিপাত, বন্যা, তুষারপাত ও ভূমিধসের পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। অঙ্গরাজ্যগুলোতে ৭০ লাখেরও বেশি মানুষ বসবাস করেন। মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) থেকেই ঝড়টি প্রভাব প্রভাব ফেলতে শুরু করেছে। সপ্তাহের শেষ নাগাদ এটি আরও তীব্র হতে পারে। ফলে পূর্বাভাসের পরিস্থিতিগুলো সৃষ্টি হওয়ার প্রচণ্ড সম্ভাবনা রয়েছে।
এনওএএ’র আবহাওয়া পূর্বাভাস কেন্দ্র জানিয়েছে, ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে প্রতি ঘণ্টায় ২-৩ ইঞ্চি তুষার জমতে পারে এবং বাতাসের গতি ঘণ্টায় ৬৫ মাইল পর্যন্ত হতে পারে। এর প্রভাবে প্যাসিফিক নর্থওয়েস্টের পাহাড়ি এলাকায় ভারি তুষারপাত হতে পারে। এ ছাড়া ঝড়ো বাতাস বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্নতা, গাছ উপড়ে যাওয়া এবং উপকূলীয় এলাকায় উঁচু ঢেউয়ের সৃষ্টি করতে পারে। উত্তর-পশ্চিম ক্যালিফোর্নিয়ার জন্য অতিরিক্ত বৃষ্টিপাতের উচ্চ ঝুঁকি সতর্কতা জারি করা হয়েছে।
কী এই বম্ব ঘূর্ণিঝড়
বম্ব সাইক্লোনকে ইনটেনস উইন্টার স্টর্ম বলেও উল্লেখ করেন আবহাওয়া বিশেষজ্ঞেরা। এই সাইক্লোন এলে বিপুল পরিমাণ বৃষ্টিপাত হয়। স্বল্পসময়ের মধ্যেই ভয়ানক ঝড়-বৃষ্টিতে ধুয়ে-মুছে যায় সব।
এই ঝড়ের ভয়াবহতার কথা মাথায় রেখেই এর নাম ‘বম্ব সাইক্লোন’ দেওয়া হয়েছে। যা আচমকা বোমার মতো ফেটে পড়ে৷ এবারে মার্কিন দেশের উপকূলে এই ভয়ানক দুর্যোগ ঘটতে চলেছে। ওরেগন ও ওয়াশিংটন-এই দুই শহরের উপর এবার ভয়ানক খারাপ প্রভাব পড়তে চলেছে। ওরেগনে ৫ ট্রিলিয়ন ও ওয়াশিংটনে ৩ ট্রিলিয়ন গ্যালন জলে প্লাবিত হবে!
কী এই বম্ব সাইক্লোন? বম্ব সাইক্লোন শব্দটি আসল আবহাওয়া সংক্রান্ত শব্দ “বোম্বোজেনেসিস” থেকে এসেছে। ফক্স নিউজের আবহাওয়াবিদ অ্যাবি একোনের মতে, এটি একটি ঝড়ের সিস্টেমের বর্ণনা করে যা শক্তিতে বিস্ফোরিত হয়, বিশেষত ২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে কমপক্ষে ২৪ মিলিবার বা তার বেশি চাপ পড়ে।
এই বম্ব সাইক্লোনের জেরে আর কী কীহতে পারে? এর জেরে মারাত্মক বৃষ্টিপাত এবং যার ফলে বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে, হতে পারে মাডস্লাইড বা ল্যান্ডস্লাইড। এমনকি পাহাড়েও প্রবল তুষারপাত হতে পারে৷
এনএ/