19 C
Dhaka
সোমবার, ডিসেম্বর ২৩, ২০২৪

নতুন কর্মসূচি কোটা আন্দোলনকারীদের

কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে সহিংসতায় নিহতদের স্মরণে সরকার ঘোষিত রাষ্ট্রীয় শোক প্রত্যাখ্যান করেছে কোটা আন্দোলনকারীরা। নয় দফা দাবি আদায় করার উদ্দেশে আজ মঙ্গলবার (৩০ জুলাই) ঐক্যবদ্ধভাবে লাল কাপড় মুখে ও চোখে বেঁধে ছবি তোলা এবং অনলাইনে প্রচার কর্মসূচি ঘোষণা করেছে কোটা আন্দোলনকারীরা।

গতকাল সোমবার (২৯ জুলাই) রাতে আন্দোলনের সমন্বয়ক মো. মাহিন সরকার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই কর্মসূচির কথা নিশ্চিত করেছেন।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ‘চলমান কোটা সংস্কার আন্দোলনে দেশজুড়ে সাধারণ শিক্ষার্থীদের যৌক্তিক দাবিকে কেন্দ্র করে নির্বিচারে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর গুলিতে শত শত শিক্ষার্থীর মৃত্যু ও হাজার হাজার ছাত্র-জনতা আহত হয়ে যখন মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছে, তখনো শিক্ষার্থীদের দাবি মেনে না নিয়ে একাত্তরের হানাদার বাহিনীর মতো মধ্য রাতে বাসা-বাড়িতে রেইড ব্লকের মাধ্যমে নিরপরাধ শিক্ষার্থীদের তুলে নিয়ে রিমান্ডের নামে মধ্যযুগীয় কায়দায় বর্বর নির্যাতন চালানো হচ্ছে।’

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, ‘বর্তমান সরকারের কর্তাব্যক্তিরা সংকট নিরসনে শিক্ষার্থীদের দাবি মেনে না নিয়ে প্রতিদিনই নির্মমভাবে শিক্ষার্থীদের দমন নিপীড়ন ও মানুষের জীবন থেকে রাষ্ট্রীয় সম্পদকে অধিক গুরুত্ব দিয়ে সরকারের নিয়ন্ত্রিত মিডিয়ায় প্রচার করছে এবং মিডিয়ার সামনে দেওয়া সরকারের কর্তাব্যক্তিদের মায়া কান্না প্রচার করছে। রাষ্ট্রীয় বাহিনীর গণহত্যা ও নির্যাতনের বিচার না করে সাধারণ শিক্ষার্থীদেরকে নিয়ে প্রতিদিন যে নির্মম উপহাস করা হচ্ছে তার প্রতিবাদে শিক্ষার্থীদের দাবি আদায়ের লক্ষ্যে দেশব্যাপী শোক প্রত্যাখ্যান করে মঙ্গলবার (৩০ জুলাই) লাল কাপড় মুখে ও চোখে বেঁধে ছবি তোলা এবং অনলাইনে ব্যাপক প্রচার কর্মসূচি করার জন্য অনুরোধ করছি।’

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, গতকাল ঢাকা, চট্টগ্রাম, নারায়ণগঞ্জ, সিলেট, নোয়াখালী, রাজশাহী, বরিশাল, খুলনা, যশোর, ঠাকুরগাঁওসহ সারা দেশে বিক্ষোভ ও ছাত্র সমাবেশ সফল হয়েছে। গতকাল সোমবারের কর্মসূচি সফল করায় দেশবাসীকে শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে কৃতজ্ঞতা জানানো হয়েছে বিজ্ঞপ্তিতে।

এছাড়াও, কোটা আন্দোলনকারীরা তাদের দাবিগুলোর সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করার জন্য শিক্ষক, সাংবাদিক, বুদ্ধিজীবী, পেশাজীবী, শ্রমজীবী ও গণমানুষের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন।

বিজ্ঞাপন

আরও পড়ুন

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

বিশেষ প্রতিবেদন