15 C
Dhaka
বৃহস্পতিবার, ডিসেম্বর ১২, ২০২৪

নতুন বাংলাদেশ নিয়ে উদ্বেগে আছে চীন?

অবকাঠামো ও প্রতিরক্ষাসহ নানা খাতে অন্যতম অংশীদার চীন। তাঁদের সবচেয়ে বেশি বিনিয়োগ ছিলো পতন হওয়া শেখ হাসিনার সরকারের আমলে। তার পতনের পর সম্পর্ক আরও গভীর করতে নতুন করে উদ্যোগী চীন। বাংলাদেশ নিয়ে চীনের দুশ্চিন্তা, উদ্বেগ বেড়েছে? উত্তর খোঁজার চেষ্টা করেছেন, আব্দুল্লাহ শাফী।

চীন, বাংলাদেশে জাপানের পর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বিনিয়োগকারী একক দেশ।ওয়াশিংটন ভিত্তিক থিঙ্কট্যাংক আমেরিকান এন্টারপ্রাই ইনিস্টিটিউ আর অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের তথ্য মতে ৮ বিলিয়ন ডলারের বিনিয়োগ, ২৩ বিলিয়ন ডলারের ঠিকাদারী কাজ আর ১৫ বিলিয়ন ডলারের আমদানী বাজার দিয়ে চীন বাংলাদেশের অর্থনীতিতে বড় জায়গা করে নিয়েছে।

এই অর্থনীতির বড় অংশই অবকাঠামো উন্নয়নে, পদ্মাসেতু, কর্ণফুলী টানেলের মতো বড়ো, বড়ো প্রকল্পে। এছাড়া আইসিটি, গ্রীণ এনার্জি ও সামরিক খাতেও বড় বিনিয়োগ আছে। এসব বিনিয়োগের অধিকাংশই এসেছে শেখ হাসিনার টানা তিন মেয়াদের শাসনামালে। যেখানে নানা কারণে বিরক্ত ছিলো যুক্তরাষ্ট্র।

৫ আগস্ট শেখ হাসিনার পতনের পর সব প্রকল্পেই ধীর গতি এসেছে। আবার ড. ইউনূসের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের মাখামাখি বেশি। আইপিএস নিয়ে তাদের কৌশলে ঢাকাকে যোগ করতে মরিয়া ওয়াশিংটন। এসব কারণে বাংলাদেশ নিয়ে কি চীনের উদ্বেগ বাড়ছে?

আন্তর্জাতিক রাজনীতির এই বিশ্লেষক মনে করেন, কোন দুই দেশের সত্যিকারের সম্পর্ক তখনই গভীর হয়, যখন অবকাঠামোর বাইরে গিয়ে সাধারণ মানুষের চিন্তা ভাবনা রুচিবোধ জড়িয়ে যায়। তাঁর মতে, যুক্তরাষ্ট্র বা পশ্চিমা লবি যেভাবে কাজ করেছে, চীন সেই জায়গায় কিছুটা পিছিয়ে।

সেই চিন্তা থেকেই সম্প্রতি ঢাকায় প্রথম বারের মতো একটি সেমিনারের আয়োজন করে, চীনা দুতাবাস। যেখানে অংশ নেয় দুই দেশের কূটনীতিক, শিক্ষাবিদসহ বিভিন্ন সেক্টরের বিশেষজ্ঞরা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চায়না স্টাডিজ সেন্টার ও সাউথ এশিয়ান সেন্টারের এই উদ্যোগে সহায়তা করেছে, বাংলাদেশে ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল স্ট্রাটেজিক স্টাডিজ।

পশ্চিমা দেশগুলো বাংলাদেশের রাজনীতি বা এদেশের সোসিও কালচার নিয়ে যতটা সরব চীন ততটাই নীরব। কিন্তু পরিবর্তীত সময়ে চীনকেও সে পথে হাটতে হবে। সেই কাজটিই করছে ধীরে ধীরে।

এই বিশ্লেষক মনে করেন, কোন রাষ্ট্রকে বুঝতে হলে তার সিভিলি সোসাইটির মধ্য দিয়েই যেতে হবে। বাংলাদেশে আধূনিক ধারার বাইরেও যে দুটি সিভিল সোসাইটি আছে, তা বুঝতে না পারায় প্রকৃত উন্নয়ন সম্ভব হয়ে উঠেনি। চীনকে সেদিকটায় মনোযোগ দেয়া উচিৎ।

ভূরাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক কারণে সব পরাশক্তিই বাংলাদেশের নিয়ন্ত্রণ চাইবে এটা সত্য । তবে সতেরো কোটি মানুষ ও জলবায়ু ঝুঁকি নিয়ে বাংলাদেশ, চীন এবং যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে কোন একটি পক্ষকে বেছে নিতে পারবে না। নতুন বাংলাদেশের প্রগেসিভ ডিপ্লোমেসি ঠিক এই জায়গাতেও হতে হবে মত তাদের।

বিজ্ঞাপন

আরও পড়ুন

বিজ্ঞাপন

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

বিশেষ প্রতিবেদন