নিষিদ্ধ পলিথিন ও পলিপ্রপিলিন শপিং ব্যাগ উৎপাদন, মজুত, পরিবহন, বিপণন ও ব্যবহার বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এরই অংশ হিসেবে রোববার (৩ নভেম্বর) থেকে পলিথিন উৎপাদনকারীদের বিরুদ্ধে অভিযান ও মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হবে।
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব তপন কুমার বিশ্বাস শনিবার (২ নভেম্বর) গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানান।
তিনি জানান, শুক্রবার (১ নভেম্বর) ও শনিবার সাপ্তাহিক ছুটি হওয়ায় ভ্রাম্যমাণ আদালত বন্ধ ছিল। তবে রোববার থেকে মনিটরিং কার্যক্রম চলবে।
ইতিমধ্যে রাজধানীর সুপারশপগুলোতে পলিথিনের বিকল্প হিসেবে পাট, কাপড় ও কাগজের তৈরি ব্যাগের ব্যবহার শুরু হয়েছে। তবে এসব ব্যাগের সরবরাহ পর্যাপ্ত নয় বলে জানা গেছে।
গত ২৭ অক্টোবর সচিবালয়ে পাট ও বস্ত্র মন্ত্রণালয়ের একটি বিশেষ সভা হয়। সভায় পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছিলেন, ১ নভেম্বর থেকে পলিথিন ব্যাগের ব্যবহার বন্ধে কঠোর মনিটরিং চালু করা হবে। পলিথিন উৎপাদনকারীদের বিরুদ্ধে অভিযান চালানো হবে।
২০০২ সালে ১ মার্চ আইন করে বিষাক্ত পলিথিন উৎপাদন, বিপণন ও ব্যবহার নিষিদ্ধ করে বাংলাদেশ। তবে দেশে পলিথিনের ব্যবহার কমেনি; বরং গত দুই দশকের বেশি সময় ধরে পলিথিনের উৎপাদন ও ব্যবহার বাড়তে দেখা গেছে। এরপর সরকার ২০১০ সালে আরেকটি আইন করে। কিন্তু এই আইনও বাস্তবে কোনো কাজ দেয়নি।