নোয়াখালীর সদর উপজেলায় গণপিটুনিতে গুরুত্বর আহত এক যুবলীগ নেতার মৃত্যু হয়েছে। গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
পুলিশ বলছে, নিহত ব্যক্তি সন্ত্রাসী কার্যকলাপের সঙ্গে জড়িত ছিলেন। তার বিরুদ্ধে থানায় আটটি মামলা রয়েছে। তিনি পুলিশের তালিকাভুক্ত আসামি ছিলেন।
এরআগে, একই দিন দুপুর আড়াইটার দিকে উপজেলার পূর্ব চরমটুয়া ইউনিয়নের সূর্যনারায়নবহরস্থ ইসমাইল মুহুরীর বাড়ি থেকে ৪ যুবককে ছাত্র-জনতা গণপিটুনে দিয়ে একটি পাইপগানসহ যৌথ বাহিনীর কাছে সোপর্দ করে।
নিহত মো. আব্দুস শহীদ উপজেলার পূর্ব চরমটুয়া ইউনিয়নের চরমটুয়া গ্রামের মমিন উল্যাহ মুন্সির ছেলে এবং ওই ইউনিয়ন যুবলীগের সহসভাপতি বলে জানা গেছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, দুপুর আড়াইটার পূর্ব চরমটুয়া ইউনিয়নের ইসমাইল মুহুরী বাড়িতে স্থানীয় ছাত্র জনতা ঘেরাও করে ১টি পাইপগানসহ আব্দুস শহীদ, মো.জামাল হোসেন, মো.জাবেদ ও মো.রিয়াদ হোসেন নামে ৪ যুবককে আটক করে বেধড়ক মারধর করে। খবর পেয়ে যৌথ বাহিনীর সদস্যরা ১টি পাইপগানসহ ৪ যুবককে আটক করে সুধারাম মডেল থানায় হস্তান্তর করে। পরে আহত শহীদকে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
সুধারাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর জাহেদুল হক রনি বলেন, ছাত্র জনতা ঘেরাও করে ৪জনকে সন্ত্রাসীকে আটক করে। শহীদ গণপিটুনিতে আহত হয়। পরে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। তবে এ ঘটনায় এখনো কেউ কোনো অভিযোগ করেনি। আটককৃতরা সন্ত্রাসী কার্যকলাপের সাথে জড়িত ছিল বলে মন্তব্য করেন তিনি।