ফেনীর মুহুরী নদীর উজানের পানি এবং আবারও ভারি বর্ষণে নোয়াখালীর বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। পানিবন্দি রয়েছেন ২২ লাখ মানুষ। বন্যা দুর্গত এলাকায় দেখা দিয়েছে সাপের উপদ্রব। এতে অনেকের কাটছে নির্ঘুম রাত।
বন্যায় নোয়াখালী জেলা শহর মাইজদীসহ ৮টি উপজেলা পানির নিচে। এতে নিজস্ব আবাসস্থল থেকে বেরিয়ে এসেছে বিষধর সাপ ও জীবজন্তু। কয়েক দিনের জলাবদ্ধতায় শতাধিক ব্যক্তিকে কামড়েছে সাপে। এতে পুরো বন্যা দুর্গত এলাকা জুড়ে আতঙ্ক।
নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের তথ্য অনুযায়ী গত তিনদিনে সাপের কামড়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে ৬৩ জন নারী-পুরুষ ও শিশু।
বন্যার পানি বেড়ে যাওয়ায় বিষধর সাপ ও জীবজন্তু বাসাবাড়ি, শুকনো উচু মাঠ ও লোকালয়ে আশ্রয় নিয়েছে, বলছেন স্থানীয়রা। এতে ঘর থেকে বের হলেই সাপের কামড়ের শিকার হচ্ছেন তারা।
হাসপাতালে ভর্তি রোগীদের প্রয়োজনীয় চিকিৎসাসেবা দেওয়া হচ্ছে। এসব সাপ ও জীবজন্তুর আক্রমণ থেকে রক্ষায় সচেতন হওয়া এবং আক্রমণের শিকার হলে রোগীকে দ্রুত হাসপাতালে নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসক।
বন্যা দুর্গত এলাকায় সাপে কাটা রোধে জনসচেতনতা তৈরি ও পর্যাপ্ত ‘অ্যান্টিভেনম ইনজেকশন’ প্রস্তুত রাখার দাবি জানিয়েছেন স্থানীয় সচেতন মহল।