ন্যাশনাল ব্যাংক নতুন করে দখল হয়নি, এমনটা দাবি করেছে পরিচালনা পর্ষদ। তবে পর্ষদের চারজন পরিচালক কাদের প্রতিনিধি, তা নিশ্চিত করতে পারেননি নতুন চেয়ারম্যান। এক বছরের মধ্যেই ব্যাংকটি ঘুরে দাঁড়াবে বলে আশা পর্ষদের। মনোযোগ থাকবে, মন্দঋণ আদায়ে। ব্যাংকটি আপাতত ইউসিবির সঙ্গে মার্জারে না যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
ব্যক্তি খাতের প্রথম প্রজন্মের ব্যাংক ন্যাশনাল। আমানত বিনিয়োগ, মূলধন পরিস্থিতি, খেলাপি ঋণ, ব্যবস্থাপনায় শক্ত ভিতের ওপর ছিল ব্যাংকটি। তবে গত কয়েক বছরের ব্যাপক অনিয়ম জালিয়াতিতে ডুবতে বসেছে প্রতিষ্ঠানটি।
নাজুক পরিস্থিতি সামাল দিতে গতবছরের ডিসেম্বরে পর্ষদ পুনর্গঠন করে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। অনিয়মে জড়িত পরিচালক আর ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষকে অপসারণ করা হয়। তারপর কেন্দ্রীয় ব্যাংক জানায়, ব্যাংকটি মার্জার হবে বেসরকারি খাতের ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংকের সঙ্গে। তবে তাতে আপত্তি তোলেন নতুন পরিচালকরা। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে সাড়ে চার মাসের মাথায় ফের পর্ষদ ভেঙে দিল কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
চেয়ারম্যানসহ নতুন নিয়োগ পাওয়া পর্ষদের বেশিরভাগই চট্টগ্রামের। দুপুরে ব্যাংকের ডাকা সংবাদ সম্মেলনে, প্রশ্ন ছিল ব্যাংকটি নতুন করে চট্টগ্রামের একটি ব্যবসায়ী গ্রুপের দখলে গেল কিনা। তা অস্বীকার করলেও পর্ষদে নিয়োগ পাওয়া চারজন পরিচালকের পরিচয় জানাতে পারেননি চেয়ারম্যান।
সংবাদ সম্মেলনটি তড়িঘড়ি শেষ করা হয়। অনেক প্রশ্নের উত্তর দেননি তারা। তবে বলেছেন, আগামী এক বছরে মধ্যে ব্যাংকটি ঘুরে দাঁড়াবে।
ব্যাংকটি এখন যে গ্রুপের নিয়ন্ত্রণে গেল, ব্যবসায়ী গ্রুপটি বিভিন্ন সময় ২ হাজার ৩০০ কোটি টাকা সুদ মওকুফ করে নিয়েছে। এই অর্থ খুব বেশি নয় দাবি আরেক পরিচালকের।
নতুন চেয়ারম্যান কেবল জুয়েলারি কিনা, এমন প্রশ্নে চেয়ারম্যান জানান, এমনটি সত্য নয়।
সংবাদ সম্মেলন শেষ করে নতুন পর্ষদ আর ব্যবস্থাপনা টিম, কেন্দ্রীয় ব্যাংক যায় বৈঠক করতে।