শীতের জেলা নামে খ্যাত উত্তরের জেলা পঞ্চগড়ে দিন দিন শীতের তীব্রতা বৃদ্ধি পেতে শুরু করেছে। উত্তরের হিমেল হওয়ার কারণে তাপমাত্রার পারদ কিছুটা হ্রাস পেয়েছে। অন্যদিকে সন্ধ্যা থেকে সকাল পর্যন্ত ঘন কুয়াশার চাদরে ঢাকা থাকছে পুরো জেলা। যদিও কুয়াশা ভেদ করেছে সকালের পরপরই সূর্য উঁকি দিয়েছে।
ঘন কুয়াশার কারণে জেলায় বিভিন্ন সড়কে রাত্রিকালীন চলাচলকারী বিভিন্ন যানবাহন ও মানুষের চলাচলে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। সকাল পর্যন্ত কিছু কিছু জায়গায় হেডলাইট জ্বালিয়ে গাড়ি চলাচল করতেও দেখা গেছে।
সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড
সোমবার (৯ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় পঞ্চগড়ে তেতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১০ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এর আগে সকাল ৬টায় একই তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। তবে গত দিন দিনের তুলনায় হিমেল হাওয়ার কারণে তাপমাত্রার পারদ কমেছে। গতকাল রোববার সকাল এ জেলা সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ১১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এবং শনিবার এ জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়ে ছিল ১২.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
এদিকে সরেজমিনে দেখা যায়, সন্ধ্যা থেকে পরদিন সকাল পর্যন্ত ঘন কুয়াশায় ঢাকা থাকছে পঞ্চগড়ের চারপাশ। এ সময়ে হালকা হিমেল হাওয়া ও শীত অনুভূত হয়। তবে মধ্যরাত থেকে ভোর পর্যন্ত শীতের তীব্রতা বেশি থাকলেও বেলা বাড়ার সাথে সাথে দেখা মেলে সূর্যের। দিনের বেলা ধীরে ধীরে সূর্য উত্তপ্ত হয়। থাকে গরম আবহাওয়া। সূর্য অস্ত্রের সাথে সাথে আবারও সন্ধ্যা থেকে শুরু হয় শীতের প্রভাব।
তবে স্থানীয়রা বলছেন, শীতের দাপটে জেলায় এখনো বৃদ্ধি না পেলেও দিনদিন তীব্রতার দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। তাই তারা দাবি করেছেন, শীতের শুরুতে যদি এ জেলায় গরিব, অসহায় ও শীতার্ত মানুষদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ করা হয় তাহলে তারা অনেক উপকৃত হবেন।
এদিকে আবহাওয়া পরিবর্তনের কারণে পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতাল ও উপজেলা চারটি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এ দিন দিন শীত জনিত রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পেতে শুরু করেছে। এছাড়াও গরিব, অসহায় ও শীতার্ত মানুষদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ শুরু করেছে উপজেলা ও জেলা প্রশাসন।