চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জে গত চার দশক ধরেই চলছে পদ্মা নদীর ভাঙন। এতে মনাকষা, দূর্লভপুর ও পাঁকা ইউনিয়নের প্রায় ৮ কিলোমিটার ভূ-খন্ড নদীগর্ভে গেছে। চর জেগেছে ভারতীয় অংশে। যেটুকু অবশিষ্ট আছে তাও বিলীন হবার পথে। ক্ষতিগ্রস্থদের দাবি একটি টেকসই বাঁধের।
শিবগঞ্জ সীমান্ত দিয়ে ভারত থেকে প্রবেশ করেছে আগ্রাসী পদ্মা নদী। যার পাড় ঘেষা গ্রামগুলোতে বসবাস কয়েক লাখ মানুষের। দীর্ঘদিন থেকেই অব্যাহত নদী ভাঙনের সঙ্গে সংগ্রাম করে বেঁচে আছেন তারা। পৈত্রিক ভিটে মাটি হারিয়ে অনেকেই হয়েছেন সর্বশান্ত।
এভাবেই প্রতিনিয়ত ভূখন্ড হারা হচ্ছেন চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার তিন ইউনিয়নের মানুষ। এমন ভয়াবহ পরিস্থিতির কারণে নির্ঘুম রাত কাটছে এসব এলাকার হতভাগ্য মানুষগুলোর।
দোভাগী ঝাইলপাড়া গ্রামের বৃদ্ধ আসির উদ্দীন জানান, গত ৪০ বছর ধরে পদ্মা নদী তাদের পিছু ছাড়ছে না। পৈত্রিক ৭০ বিঘা ফসলী জমি গিলেছে। তাঁর জীবদ্ধশায় অন্তত ৫ বার ঘরবাড়ি ভেঙ্গে হয়েছেন নিঃস্ব।
ভাঙন ঝুঁকিতে এসব এলাকার বিদ্যুৎ সংযোগও বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে।
স্থানীয় জনপ্রতিনিধি জানান, বিগত কয়েক দশকে বাংলাদেশের ভূখন্ড হারিয়ে চর জেগেছে ভারতীয় অংশে।
জানতে চাইলে দীর্ঘদিন ধরে ঝুলে থাকা নদীর তীর রক্ষা প্রকল্পটি বাস্তবায়নের কথা জানালেন সংশ্লিষ্টরা।
আর বিলম্ব নয়। পরিস্থিতি বিবেচনায় দ্রুত টেকসই বাঁধ নির্মাণ করবে সরকার, এমনটাই প্রত্যাশা এলাকাবাসীর।