অ্যান্টিগা টেস্টে বাংলাদেশের ভাগ্যে কী হতে চলেছে, সেটি ঠিক হয়ে গিয়েছিল চতুর্থ দিনই। টাইগাররা পরাজয়ের ব্যবধান কতটা কমাতে পারে কিংবা শেষ বিশেষজ্ঞ ব্যাটার জাকের আলী কিছু করে ফেলতে পারেন কিনা; সেই অপেক্ষায় ছিলেন সমর্থকরা।
তেমন কিছু হয়নি। বাংলাদেশের ভাগ্যে যা লিখা ছিল, সেভাবেই ম্যাচটা গড়িয়েছে। পঞ্চম দিনে ৭ ওভার টিকতে পেরেছে সফরকারীরা। ৯ উইকেটে ১৩২ রানে শেষ হয়েছে দ্বিতীয় ইনিংস। শরিফুল ইসলাম কাঁধে আঘাত পাওয়ায় ইনজুরি নিয়ে মাঠের বাইরে যান। ফলে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ২০১ রানের বড় হারই সঙ্গী হয়েছে বাংলাদেশের।
৩৩৪ রান তাড়া করায় ৭ উইকেটে ১০৯ রান নিয়ে পঞ্চম দিনের খেলা শুরু করে টাইগাররা। দিনের দ্বিতীয় ওভারেই আলজেরি জোসেফের বলে ব্যাট ছুঁইয়ে উইকেট রক্ষকের ক্যাচ হন হাসান মাহমুদ (১২ বলে ০)।
এরপর জাকের আলী কিছুটা সময় টুকটাক রান নিয়ে শেষ পর্যন্ত এলবিডব্লিউ হয়েছেন আলজেরি জোসেফেরই বলে। ৫৮ বল মোকাবেলা করে ৫ বাউন্ডারিতে ৩১ রান আসে জাকেরের ব্যাট থেকে।
প্রথম ইনিংসে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ৯ উইকেটে ৪৫০ রান তুলে ইনিংস ঘোষণা করেছিল। বাংলাদেশও সবাইকে চমকে দিয়ে ৯ উইকেটে ২৬৯ তুলে প্রথম ইনিংস ছেড়ে দেয়। উদ্দেশ্য ছিল, চতুর্থ দিনের সকাল সকাল ক্যারিবীয়দের বিপদে ফেলা।
তাসকিন আহমেদের দুর্দান্ত বোলিংয়ে সেই উদ্দেশ্য অনেকটাই সফল হয়েছিল বাংলাদেশের। দ্বিতীয় ইনিংসে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে মাত্র ১৫২ রানে গুটিয়ে দেয় টাইগাররা। তাসকিন ৬৪ রানে একাই নেন ৬ উইকেট।
কিন্তু ৩৩৪ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ব্যাটিং ব্যর্থতায় আর পেরে উঠেনি মেহেদী হাসান মিরাজের দল। সেরা পাঁচ ব্যাটারের কেউ ত্রিশও করতে পারেননি। অর্ধ শতকও ছিলো না। দ্বিতীয় ইনিংসে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক মিরাজ (৪৫)।