নারায়ণগঞ্জ শহরের কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল ও বন্ধন পরিবহনের নিয়ন্ত্রনকে কেন্দ্র করে, বিএনপির দুই গ্রুপের মধ্যে সংর্ঘষ ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এতে কমপক্ষে ১০ জন আহত হয়ে। খবর পেয়ে যৌথবাহিনী ধাওয়া দিয়ে ৮ সন্ত্রাসীকে গ্রেফতার করে। এ ঘটনায় রবিবার বিকালে ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ রুটে বাস চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, ৫ আগষ্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকে সিটি বন্ধন পরিবহন দখলে নেয় বিএনপির (কারাবন্দি) জাকির খান গ্রুপের লোকজন। বিকালে বিএনপির মিশন পাড়া এলাকার র্যাবের ক্রস ফায়ারে নিহত, যুবদল নেতা মমিনউল্লাহ ডেভিডের ছোট ভাই, মাহবুবু উল্লাহ তপনের ভাগিনা, সেচ্ছাসেবক দল নেতা সাখাওয়াত রানা, মমিনুর রহমান বাবু, কামাল উদ্দিন জনির নেতৃত্বে একদল সন্ত্রাসী অস্ত্রসস্ত্রে সজ্জিত হয়ে বন্ধন পরবিহনের অফিস ও কাউন্টার দখল নেয়ার জন্য হামলা চালায়।
এ সময় তাদের হামলায় প্রায় ১০ শ্রমিক আহত হন। খবর পেয়ে (কারাবন্দি) জাকির খান গ্রুপের লিংরাজ, সলিম উল্লাহ করিম, সেলিম ওরফে দাদা সেলিম, জিয়াউর রহমান, রাজু আহমেদ, মনিরুজ্জামান, কানা আক্তারের নেতৃত্ত্বে আরেকদল অস্ত্রসস্ত্রে সজ্জিত হয়ে তপন গ্রুপকে ধাওয়া দেয়।
ঘটনার সময় দুই গ্রুপের মধ্যে দফায় দফায় সংর্ঘষ ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া, ইটপাটকেল নিক্ষেপ হয়। প্রায় ঘন্টা ব্যাপি এভাবে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া চলে।
খবর পেয়ে পুলিশ, সেনাবহিনীসহ যৌথ বাহিনী ঘটনাস্থলে পৌছায়। সংর্ঘষে জড়িত থাকার অভিযোগে ৮ সন্ত্রাসীকে গ্রেফতার করে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
তবে কোনো কোনো মালিকের দাবি, সরকার পরিবর্তনের সাথে সাথে সন্ত্রাসীরা টার্মিনাল ও বন্ধন পরিবহন নিয়ন্ত্রণে নিতে হামলা করছে। হামলাকারীরা বাস মালিক দাবি করলেও, তাদের কোন প্রকার গাড়ী নেই।
এ ব্যাপারে নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানার ওসি নজরুল ইসলাম জানান, বন্ধন পরিবহন বাসের মালিকানা নিয়ে দ্বন্দ্বের জের ধরে দুই গ্রুপের মধ্যে সংর্ঘষ হয়েছে। যৌথ বাহিনীর সহায়তায় সংঘর্ষে জড়িত ৮ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এ ধরনের কর্মকান্ড কঠোর হস্তে দমন করা হবে বলে জানান ওসি।