19 C
Dhaka
শনিবার, ডিসেম্বর ২১, ২০২৪

পাকিস্তানের শেয়ারবাজার উড়ছে, আমরা কোথায়?

ইতিবাচক খবরেও পতন থেকে বের হতে পারেনি দেশের শেয়ারবাজার। বিদায়ী সপ্তাহে সূচক কমার পাশাপাশি কমেছে লেনদেন। পাশের দেশগুলো এগুচ্ছে, তবে পিছিয়ে পড়ছে দেশীয় শেয়ারবাজার।

পাকিস্তানের শেয়ারবাজার যেখানে উড়ছে সেখানে আমাদের অবস্থান দেখলে রীতিমতো পেতে হয় লজ্জা। করাচি হান্ডেড সূচক লক্ষ পার হওয়ার পর সে দেশের বিনিয়োগকারীদের ঊচ্ছাস তৈরি হলেও বিপরীত চিত্র ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে।

পাকিস্তানের সঙ্গে সমানতালে এগিয়ে যাচ্ছে ভারতের শেয়ারবাজার। সেনসেক্স যেখানে ৮০ হাজারের কাছাকাছি, সেখানে দেশীয় শেয়ারবাজার তলানিতে।

শেয়ারবাজারে পতন চলছে: বেক্সিমকোর ১১৭ বিও তলব

চলতি নভেম্বরের শুরুর দুই সপ্তাহ কিছুটা আলোর মুখ দেখালেও এরপরের দিনগুলো কেটেছে হতাশার। বাজার উন্নয়নে বিভিন্ন ইতিবাচক খবর থাকলেও আস্থা ফেরাতে ব্যর্থ হয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা।

বিদায়ী সপ্তাহে সূচক কমেছে ৪ দশমিক ৯৯ পয়েন্ট বা দশমিক ১০ শতাংশ। এছাড়া দৈনিক লেনদেন কমেছে ৪২৩ কোটি টাকা। তবে আশার কথা হলো, বাজার মূলধন বেড়েছে ১ হাজার ৬৩৭ কোটি টাকা।

গেইনারের শীর্ষে উঠে আসা এমারেল্ড ওয়েলের সপ্তাহজুড়ে দর বৃদ্ধি পেয়েছে ২৬ দশমিক ১০ শতাংশ। দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা ইন্ট্রাকোর দর বেড়েছে ২১ দশমিক ২১ শতাংশ। এছাড়া সবচেয়ে বেশি দর হারিয়েছে নিউ লাইন ক্লোথিং। ফনিক্স ফাইন্যান্স ও এনার্জিপ্যাকের শেয়ারে আস্থা না থাকায় দর কমেছে অনেক।

কারেকশনের শেয়ারবাজারে লোকসানের পাল্লাই ভারী
ছবি: সংগৃহীত

বিদায়ী সপ্তাহে সেক্টর বিবেচনায় সবচেয়ে বেশি লেনদেন বেড়েছে করপোরেট বন্ড খাতে। অন্যদিকে জেনারেল ও লাইফ ইন্স্যুরেন্সের লেনদেন কমেছে চোখে পড়ার মতো।

এদিকে ডিএসইর সার্বিক মূল্য আয় অনুপাত বা পিই রেশিও কমে দাঁড়িয়েছে ৯.৫১ পয়েন্ট। বিনিয়োগ উপযোগী বাজার হওয়া স্বত্ত্বেও সে পরিবেশ পরিবেশ তৈরি করতে নীতি নির্ধারণী মহলের ব্যর্থতাই দায়ী বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা।

এনএ/

দেখুন: ভারত-পাকিস্তানের যে সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া নেই

বিজ্ঞাপন

আরও পড়ুন

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

বিশেষ প্রতিবেদন