পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি অনুষদের ২০২৩-২৪ সেশনের শিক্ষার্থী হুসাইন মোহাম্মদ আশিক-এর পানিতে ডুবে মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে।
সোমবার (১৪ এপ্রিল) দুপুর ৩ টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন জনতা কলেজ পুকুরে কয়েকজন বন্ধুমিলে গোসল করতে যায়। ঐখানে পানিতে ডুবে আহত হলে দুমকী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসার জন্য নেওয়া হয়। স্বাস্থ্য কেন্দ্রের দায়িত্বরত চিকিৎসক পটুয়াখালী সদর হাসপাতালে রেফার করে। পটুয়াখালী সদর হাসপাতালে চিকিৎসারত অবস্থায় শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়।
এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। হুসাইন মোহাম্মদ আশিক এর বাড়ি কুড়িগ্রামের রাজারহাট উপজেলার তালুক সুবল গ্রামের নুর আলম সরদার ও বিলকিস আক্তার
বেগমের সন্তান।

হুসাইন মোহাম্মদ আশিক এর বন্ধু ২০২৩-২৪ সেশনের সাকিব বলেন,” সময় মত চিকিৎসা পেলে আমার বন্ধুর এই মর্মান্তিক মৃত্যু হতো না। চিকিৎসকের গাফিলতির জন্যই এই মৃত্যু”।
প্রক্টর প্রফেসর মো. আবুল বাশার খান মৃত্যুর সংবাদ নিশ্চিত করে বলেন, “ঘটনাটি অবহিত হওয়ার পর দ্রুত চিকিৎসার ব্যবস্থা করি ও পটুয়াখালী সদর হাসপাতালে নিয়ে আসি। ঘটনাটি মর্মান্তিক, যদি কারো গাফিলতি থাকে তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
সহপাঠীর মৃত্যুর ঘটনায় পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীরা উত্তেজিত হয়ে ওটে এবং পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল আইসিইউ এর কাচ ভাংচুর করে।
এ ঘটনায় শুনে পবিপ্রবি এর ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. রফিকুল ইসলাম সাথে পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আসেন এবং শিক্ষার্থীদের শান্ত থাকার কথা বলেন এবং চিকিৎসায় কোন কালক্ষেপণ ও গাফিলতি থাকলে তদন্ত কমিটি গঠন করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলেন।

উত্তেজিত শিক্ষার্থীদের সামাল দিতে পর্যাপ্ত সেনাবাহিনী ও পুলিশ বাহিনী মোতায়েন ছিল। এসময় জেলা প্রশাসক আবু হাসনাত মোহাম্মদ আরেফীন ও পুলিশ সুপার মোঃ আনোয়ার জাহিদ ঘটনাস্থলে গিয়ে শিক্ষার্থীদের সাথে কথা বলেন এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।
তার সাড়ে ৯টায় দিকে মৃত্যুসনদসহ পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে হুসাইন মোহাম্মদ আশিক-এর মরদেহ পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে গোসল করিয়ে প্রথম জানাজা শেষে তার মরদেহ বিশ্ববিদ্যালয়ের এ্যামুলেন্সে করে কুড়িগ্রামের দিকে রওনা দেয়।
এদিকে মৃত্যুর ঘটনায় চিকিৎসা বা হাসপাতাল কতৃপক্ষের কোন প্রকার গাফিলতি আছে কি-না তা তদন্তের জন্য ৮ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
পড়ুন : http://পটুয়াখালীতে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় ৭২টি কেন্দ্রে ২৫ হাজার ৮’শ ৮১ জন পরীক্ষার্থী