বৃষ্টি কমে আসলেও উত্তরের জেলাগুলোতে বন্যা পরিস্থিতির খুব একটা উন্নতি হয়নি। আজও বিভিন্ন পয়েন্টে নদ-নদীর পানি বিপদসীমার উপরদিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। বিপাকে নদী পাড়ের মানুষ। তবে স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে সিলেট ও সুনামগঞ্জের পরিস্থিতি।
উজান থেকে নেমে আসা ঢল ও বৃষ্টিপাতের কারণে, টাঙ্গাইলে ৩ নদীর পানি বিপৎসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ফলে জেলার ৬ উপজেলায় ৪৭ হাজার মানুষ পানিবন্দি। কয়েকটি উপজেলায় তলিয়ে গেছে বাড়িঘর, হাট-বাজার ও ফসলি জমি। সড়ক ভেঙে ও বাঁধ উপচে প্রতিদিনই নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে।
গত এক সপ্তাহ ধরে কুড়িগ্রামে বন্যার পানির নিচে তলিয়ে আছে সবজি ও আমন বীজতলাসহ ৬ হাজার ৫০০ হেক্টর জমির ফসল। পানি উন্নয়ন বোর্ড জানিয়েছে, ব্রহ্মপুত্র ও দুধকুমার নদীর পানি এখনও বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
সিরাজগঞ্জে যমুনার পানি কিছুটা কমলেও এখনও বিপৎসীমার উপরে রয়েছে। এদিকে জেলায় ৭৭ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বন্যার পানি প্রবেশ করায় পাঠদান বন্ধ হয়ে আছে। এর মধ্যে ৬১টি প্রাথমিক এবং ১৬টি মাধ্যমিক বিদ্যালয় রয়েছে। এখনও পানিতে নিমজ্জিত আবাদি জমির ফসল।
জামালপুরে বন্যার পানিতে ভেসে গেছে মৎস খামরিদের স্বপ্ন। স্থানীয় মৎসজিবি সমিতির ১০ একর জমিতে চাষ করা মাছ ভেসে গেছে বন্যায়। এতে ঋনের টাকা শোধ করা নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন তারা।
এদিকে, দুইদফা বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ সুনামগঞ্জের মানুষ ফের ঘুরে দাড়াতে শুরু করেছেন। তবে এখনও দূর্ভোগ কাটেনি। গত ২৪ ঘন্টার সুনামগঞ্জের সুরমা ও কুশিয়ারা নদীর পানি অনেকটাই কমেছে। দেখা দিয়েছে খাবার ও সুপেয় পানির তীব্র সংকট।
একই পরিস্থিতি সিলেটের। বন্যার পানি নামতে শুরু করেছে। তবে বেড়েছে পানিবাহীত নানান রোগের প্রকোপ। এবারের বন্যায় প্লাবিত হয়েছে সিলেটের এক হাজার ১১৬ গ্রাম।