শেয়ারবাজারে যেখানে প্রতিদিন গড়ে ২০-২৫ কোটি শেয়ারের ওপরে লেনদেন হতো সেখানে তা নেমে এসেছে ১২ কোটিতে। দৈনিক লেনদেনের ভরাডুবিতে এক প্রকার মুমূর্ষ অবস্থায় পড়ে রয়েছে দেশের শেয়ারবাজার।
অন্যদিকে পুঁজি হারিয়ে রাস্তায় নেমে এসেছেন বিনিয়োগকারীরা। তাদের দাবি, বিএসইসির চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদকে পদত্যাগ করতে হবে।
গতকাল মতিঝিলের ডিএসই ভবনে মানববন্ধন করার পর আজ ৩ অক্টোবর আগারগাঁও বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি)ভবনের সামনে অবস্থান নেন বিনিয়োগকারীরা। এ সময় বিনিয়োগকারীরা বিএসইসির কার্যালয় ঘেরাও করেন। এতে অবরুদ্ধ হয়ে পড়েন বিএসইসির চেয়ারম্যানসহ সব কর্মকর্তা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে বিএসইসিতে পুলিশ মোতায়েন করা হয়।
বিনিয়োগকারীরা বলেন, বিএসইসি চেয়ারম্যান দায়িত্ব নেওয়ার পর যেসব সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তাতে পুঁজিবাজারে নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। এতে মূলধন হারিয়েছেন বিনিয়োগকারীরা। তাই বিএসইসির চেয়ারম্যানকে পদত্যাগ করতে হবে। সেই সঙ্গে জালিয়াতির মাধ্যমে নিয়োগ পাওয়া ১২৭ জন ছাত্রলীগ কর্মীকেও পদত্যাগ করতে হবে বলে দাবি করেন বিনিয়োগকারীরা।
জানা যায়, আজ ৩ অক্টোবর ডিএসই’র ব্রড ইনডেক্স আগের দিনের চেয়ে ০.১৬ শতাংশ বা ৮.৫৯ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করেছে ৫ হাজার ৪৬২.৫৮ পয়েন্টে। আর ডিএসই শরিয়াহ সূচক ১.৫৭ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করেছে ১ হাজার ২২১.২৭ পয়েন্টে এবং ডিএসই–৩০ সূচক ২.৮৩ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করেছে ১ হাজার ৯৯০.৮৫ পয়েন্টে। দিনভর লেনদেন হওয়া ৩৯৭ টি কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ২০৯ টির, কমেছে ১৩৮ টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৫০ টির। অর্থাৎ পুঁজিবাজারে আজ ৫২.৬৪ শতাংশ শেয়ারের দর বেড়েছে।
সারাদিনে ডিএসইতে ১২ কোটি ৫১ লাখ ২০ হাজার ৭৩২ টি শেয়ার ১ লাখ ১৫ হাজার ৫৫৯ বার হাতবদল হয়েছে। আর দিন শেষে লেনদেন হয়েছে ৩১৫ কোটি ৫৫ লাখ ৯৮ হাজার টাকা।
গত কার্যদিবসে অর্থাৎ ২ অক্টোবর ডিএসই’র ব্রড ইনডেক্স আগের দিনের চেয়ে ২.৩৭ শতাংশ বা ১৩২.২৯ পয়েন্ট কমে অবস্থান করেছিল ৫ হাজার ৪৫৩.৯৯ পয়েন্টে। আর ডিএসই শরিয়াহ সূচক ৩২.৫২ পয়েন্ট কমে অবস্থান করেছে ১ হাজার ২১৯.৭১ পয়েন্টে এবং ডিএসই–৩০ সূচক ৫১.৩৩ পয়েন্ট কমে অবস্থান করেছে ১ হাজার ৯৮৮.০২ পয়েন্টে। দিনভর লেনদেন হওয়া ৩৯৮ টি কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছিল ২৯ টির, কমে ৩৪৭ টির এবং অপরিবর্তিত রয় ২২ টির। অর্থাৎ পুঁজিবাজারে গত কার্যদিবসে ৮.৩৬ শতাংশ শেয়ারের দর বৃদ্ধি পায়। সারাদিনে ডিএসইতে ১৬ কোটি ৬৮ লাখ ৭৬ হাজার ৪০৪ টি শেয়ার ১ লাখ ৪২ হাজার ৫৯১ বার হাতবদল হয়। আর দিন শেষে লেনদেন হয় ৪৪০ কোটি ৮৩ লাখ ১২ হাজার টাকা।সে হিসেবে আজ লেনদেন কমেছে ১২৫ কোটি ২৭ লাখ ১৪ হাজার টাকা।
এদিকে আজ দিন শেষে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সাধারণ মূল্য সূচক সিএএসপিআই ১.১৩ শতাংশ বা ১৯.২৬ পয়েন্ট কমে অবস্থান করেছে ১৫ হাজার ২৭১.৭৮ পয়েন্টে। দিনভর লেনদেন হওয়া ১৮৪ টি কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ৬৯ টির, কমেছে ৯৫ টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ২০ টির। আজ দিন শেষে সিএসইতে লেনদেন হয়েছে ২ কোটি ৮৮ লাখ ৬৬ হাজার ৭৮৪ টাকা।