রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে আলোচনা টেবিলে আসতে বাধ্য করার জন্য ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার মন্তব্য করেছেন। তিনি বলেছেন, পুতিনকে না হয় আজ না হয় কাল, আলোচনা শুরু করতে হবে। স্টারমার এসব কথা বলেছেন “কোয়ালিশন অব দ্য উইলিং” নামক ভার্চুয়াল বৈঠকে, যেখানে বিশ্ব নেতারা ইউক্রেনের প্রতি সমর্থন ও রাশিয়ার ওপর চাপ সৃষ্টির আহ্বান জানান।
এই বৈঠকের মূল লক্ষ্য ছিল, ইউক্রেনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য যুক্তরাষ্ট্রকে প্রভাবিত করা। ইউক্রেনের বিরুদ্ধে রাশিয়ার আক্রমণ ও যুদ্ধ অবসানের উদ্দেশ্যে কিছু শর্ত এবং যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্ক পুনঃস্থাপনে রাশিয়া দাবি করেছে। রাশিয়া তাদের দাবিতে ইউক্রেনকে ন্যাটো সদস্যপদ না দেওয়া, ইউক্রেনে বিদেশি সেনা মোতায়েন না করা এবং ক্রিমিয়া ও চারটি প্রদেশ রাশিয়ার অন্তর্ভুক্ত করা নিয়ে আলোচনা করেছে। তবে ইউক্রেন ইতোমধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের শান্তি প্রস্তাব মেনে নিয়েছে।

স্টারমার বলেন, ইউক্রেনকে সামরিক সহায়তা অব্যাহত রাখতে হবে এবং রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে আলোচনায় বসতে বাধ্য করতে হবে।
তিনি উল্লেখ করেন যে, পুতিনকে শান্তির প্রতি আন্তরিক হলে ইউক্রেনের ওপর আক্রমণ বন্ধ করে যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হতে হবে। স্টারমার বলেন, “যদি পুতিন শান্তির দিকে এগিয়ে আসতে চান, তাহলে তিনি সহজেই যুদ্ধবিরতির প্রতি সম্মত হতে পারেন।”
তিনি আরও বলেন, বিশ্ববাসী পদক্ষেপ দেখতে চায়, শুধু কথা নয়। তিনি উল্লেখ করেন যে রাশিয়া সৃষ্ট বিশৃঙ্খলার কারণে যুক্তরাজ্যের মানুষের জীবনযাত্রার খরচ বৃদ্ধি পেয়েছে এবং জ্বালানি খরচ বেড়েছে।
এই বৈঠকের পর, স্টারমার বলেন, কোয়ালিশন অব উইলিং জোট বিস্তৃত হচ্ছে। বর্তমানে, ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ), কানাডা, অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড, জাপান সহ আরও অনেক দেশ ইউক্রেনের সমর্থনে একত্র হয়েছে। তিনি বলেন, “আমাদের দল এখন আরও বড় এবং আমাদের সম্মিলিত সংকল্প শক্তিশালী হয়েছে।”
স্টারমার আরও বলেন, শান্তিচুক্তির দিকে এগিয়ে যাওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে এবং আসন্ন বৃহস্পতিবার সামরিক বাহিনী যুদ্ধবিরতির সমর্থনে বৈঠক করবে। তিনি আরও জানান, রাশিয়ার ওপর সর্বোচ্চ চাপ প্রয়োগের সময় এসেছে এবং ইউক্রেনে শান্তিরক্ষী বাহিনী মোতায়েনের বিষয়ে আলোচনার জন্য সামরিক প্রধানরা আগামী বৃহস্পতিবার যুক্তরাজ্যে বসবেন।
এদিকে, ইতালির প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনি বলেছেন, তার দেশ ইউক্রেনে সেনা পাঠানোর চিন্তা করছে না। তিনি বলেন, ইতালি এ ব্যাপারে কোনো পরিকল্পনা গ্রহণ করেনি।
ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার আরও বলেন, রাশিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরও কঠোর করার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে এবং আগামীতে এই আলোচনা অব্যাহত থাকবে।
পড়ুন: পুতিনকে হাতি উপহার মিয়ানমার জান্তার
দেখুন: এরদোয়ান VS পুতিন?
ইম/