রাজউকের আলোচিত পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্পে নিজ নামে প্লট বরাদ্দ নিয়েছেন শেখ হাসিনা। তিনি একা নন, প্লট নিয়েছেন তার ছেলে সজীব আহমেদ ওয়াজেদ জয় ও মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুল। এছাড়াও প্লট বরাদ্দ প্রাপ্তদের তালিকায় আছেন হাসিনার ছোট বোন শেখ রেহানা ও তার দুই ছেলেমেয়ে।
রাজনৈতিক বিবেচনায় সরকারের ১৩/এ ধারার ক্ষমতাবলে তারা প্লট বুঝে পান ২০২২ সালে।এদিকে হাসিনার পতনের পর এ সংক্রান্ত প্লট বরাদ্দ বাতিলের দাবীতে ফুঁসে ওঠেছে আদিবাসি ও ক্ষতিগ্রস্ত প্লট মালিকরা।
৯ সেপ্টেম্বর সোমবার দুপুরে পূর্বাচলের ২৭ নং সেক্টরে স্থানীয় বাসিন্দাদের নিয়ে কেন্দ্রীয় যুবদলের সাবেক সহ সাধারণ সম্পাদক দুলাল হোসেনের নেতৃত্বে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন করা হয়েছে। এতে যোগ দেন পূর্বাচলের শতাধিক আদিবাসী ও ক্ষতিগ্রস্ত বাসিন্দারা।
শেখ হাসিনা স্বয়ং নিজের নামে ১০ কাঠার প্লট বরাদ্দ নেন। পূর্বাচলে প্রস্তাবিত কূটনৈতিক জোন ২৭ নম্বর সেক্টরে ২০৩ নম্বর রোডে তার প্লট নম্বর ০০৯। ২০২২ সালের ৩ আগস্ট তার নামে বরাদ্দপত্র ইস্যু করে রাজউক।
শেখ হাসিনার বাসভবন ধানমন্ডির ৫৪ সুধা সদনের ঠিকানায় বরাদ্দপত্র পাঠানো হয়। সম্প্রতি রাজউকে গিয়ে দেখা যায়, রেকর্ডরুমে শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের সদস্যদের ফাইলগুলো বিশেষ চিহ্ন দিয়ে রাখা হয়েছে।
সজীব ওয়াজেদ জয়ের নামে মালিকানা সংক্রান্ত রেজিস্ট্রি ১০ নভেম্বর। আর ২ নভেম্বর সায়মা ওয়াজেদ পুতুলের নামে ১০ কাঠা প্লটের বরাদ্দপত্র ইস্যু করা হয়।