দেশের পোশাক খাতের অস্থিরতায় বাজার হারানোর শঙ্কা করছেন উদ্যোক্তারা। তারা আশংকা করছেন সাম্প্রতিক সময়ে আমাদের দেশের পোশাক শিল্পের সামগ্রিক পরিস্থিতিতে প্রতিযোগী দেশগুলোর পোয়াবারো অবস্থা। বিদেশি ক্রেতারা ইতোমধ্যেই ভারতে তাদের ক্রয়াদেশ সরিয়ে নিচ্ছেন।
এই শিল্প যে কতটা শক্তিশালী তা বিবেচনা করতে হবে বলে পরামর্শ দিয়েছেন এই শিল্পের উদ্যোক্তারা। যদিও তারা বলছেন, পরিস্থিতি আগের থেকে কিছুটা উন্নতি হয়েছে।
নাগরিক টেলিভিশনের বিজনেস এ্যানালিস্টরা পর্যালোচনা করে দেখেছেন বাংলাদেশের ধারাবাহিক অর্থনৈতিক উত্থানের পেছনে পোশাকশিল্পের বড় অবদান আছে। উপমহাদেশের দেশগুলো বিশ্ববাজারের জন্য টি-শার্ট ও ট্রাউজার উৎপাদন করে হাজার হাজার কোটি ডলার আয় করেছে। পোশাক শিল্প অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে যে কতটা শক্তিশালী হতে পারে, বাংলাদেশের চেয়ে এত ভালো নজির আর হতে পারে না।
৪০ লাখের বেশি মানুষের কর্মসংস্থানের পাশাপাশি রপ্তানী বাজার ৪ হাজার কোটি ডলারে দাঁড়ালেও পোশাক খাতের ৪৫ বছরের যাত্রায় বাংলাদেশ হোঁচট খেয়েছে বার বার।
গত আগস্টের রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর, খাতটি ঘিরে চলছে অস্থিরতা, যার কারণে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছেন ক্রেতারা।
বাংলাদেশের অস্থিরতায় সোনায় সোহাগা অবস্থান প্রতিযোগি দেশগুলোর। বিশেষ করে, বেশ কয়েকটি ব্র্যান্ড তাদের ক্রয় আদেশ সরিয়ে নিচ্ছেন ভারতে। বৈশ্বিক ব্র্যান্ডগুলো তাদের ক্রয় আদেশ বাড়িয়েছে দেশটিতে। ফলে বাড়ছে ভারতের রপ্তানি বাজার। দেশটির রপ্তানিকারকরাও এর ফায়দা তুলে নিতে নিয়েছে সব রকমের প্রস্তুতি।
তবে আশার কথা হলো, বিশ্ব বাজারে বাংলাদেশের পোশাক যতটা সহজে প্রবেশের সুযোগ পায় সেটি ভারতের নেই। আবার অন্যদিকে ভারতের সরকার দিচ্ছে নানান সহযোগিতা।
বাংলাদেশের উদ্যোক্তারা বলছেন, বিশ্বের পোশাকের প্রাণ স্পন্দন বাংলাদেশ। তবে, অস্থিরতা কাটানো না গেলে, সাম্রগিক ভাবে ১০ থেকে ২০ শতাংশ কমতে পারে দেশের পোশাক রপ্তানি।
সাইদ আরমান, নাগরিক, ঢাকা।