দেশের তৈরি পোষাক রপ্তানিতে ভারতীয় সীমানায় খরচ বেশি। তাই বিকল্প রুট হিসেবে বেছে নেওয়া হয়েছে মালদ্বীপকে। এতে খরচ কমছে, বাড়ছে আয়। তবে ভারতের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্কে অবনতির শঙ্কাও দেখা দিয়েছে।
ভারতের বিমান ও নৌবন্দর দিয়ে পোশাক রপ্তানি করা বন্ধ করায় দেশটি বিপুল রাজস্ব হারাচ্ছে বলে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে দেশটির গণমাধ্যম দ্য মিন্ট। এতে বাংলাদেশ-ভারতের বাণিজ্যিক সম্পর্কের অবনতি ঘটবে বলেও উল্লেখ করা হয়।
তবে সম্পর্কের অবনতি বা রাজনৈতিক কোন ইস্যু নয়, নিজেদের খরচ কমানোর পাশাপাশি ঝামেলা এড়াতে ভারতকে বাদ দিয়ে মালদ্বীপের রুট ব্যবহার করছে বাংলাদেশ।
দীর্ঘদিন পর তৈরি পোষাক রপ্তানিতে মালদ্বীপকে বিকল্প রুট হিসেবে খুঁজে পেয়েছে বাংলাদেশ। ক্রেতাদের চাহিদা অনুযায়ী সময়তো পণ্য ডেলিভারি দেওয়ায় দেশের গার্মেন্টস শিল্পে ইতিবাচক প্রভাব পড়ছে। তবে ভারতও চেষ্টা করছে বাংলাদেশের সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ক উন্নতির জন্য।
রপ্তানির ক্ষেত্রে নতুন রুটের মাধ্যমে কৌশলগত সুবিধা, সঙ্গে নিশ্চিত নির্ভরযোগ্যতা পাওয়ার সুযোগ পাচ্ছে বাংলাদেশ। যা আন্তর্জাতিক পোশাক বাজারের কঠোর সময় সীমার ক্ষেত্রে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এছাড়া ভারতের বন্দরের ওপর থেকে নির্ভরতা কমিয়ে সাপ্লাই চেইনের ওপর আরও নিয়ন্ত্রণ আরোপ করছে বাংলাদেশ।
টিএ/