রাষ্ট্রপতি অপসারণ ইস্যুতে বিএনপি এবং বৈষম্য বিরোধী শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিরোধ বাড়ছে। মনে হচ্ছে দুই পক্ষই নিজেদের অবস্থানে অনড়। বিশ্লেষকরা মনে করেন এই দুই রাজনৈতিক শক্তির লক্ষ্য ভিন্ন। শিগগির সমাধান না হলে জন আকাঙ্খার ভিত্তি দূর্বল হবে।
৫ আগস্টের আগে বৈষম্যবিরোধী ছাত্রদের প্রতি বিএনপির যে দরদ ছিলো, সরকার পতনের পর তাতে কিছুটা ভাটা পড়েছে সেটি নতুন করে না বললেও চলে। বিশেষ করে, নাগিরক শক্তি নামে একটি প্লাটফর্ম দাড় করানোর পর বিএনপির অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাদের বক্তব্যে বিষয়টি সামনে আসে।
এমনকি, নরসিংদিসহ বেশ কয়েকটি জেলায় বৈষম্য বিরোধী ছাত্রদের সমাবেশ ভুন্ডুলের পিছনে ছাত্রদলের হাত ছিলো বলে অভিযোগও উঠে।
এসব অভিযোগ এতোদিন কানাঘুষা পর্যায়েই ছিলো, কিন্তু সম্প্রতি রাষ্ট্রপতির অপসারণকে কেন্দ্র করে দ্বিমত খুব স্পস্ট। সাংবিধানের দোহাই দিয়ে রাষ্ট্রপতি অপসারনে নারাজি বিএনপি। যদিও শেখ হাসিনার পতনের পর সরকার গঠন থেকে রাষ্ট্র পরিচালনা সব জায়গাই সংবিধান উপেক্ষিত।
এমন প্রেক্ষাপটে ক্রিড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদের এক মন্তব্যে যেন আগুণে ঘি ঢালে। তিনি লিখেছেন, প্রমিনেন্ট রাজনৈতিক দলকেও আওয়ামী লীগের অ্যাডভোকেসি করতে দেখা গেছে, ফ্যাসিবাদের সর্বশেষ আইকনকে সরানোর ক্ষেত্রেও অনীহা দেখা গেছে।
এমন প্রেক্ষাপটে গতরাতে বিএনপির গুলশান কার্যালয়ে যান হাসনাত আব্দুল্লাহ সহ আন্দোলনের নয় নেতৃত্ব। যাতে রাষ্ট্রপতি অপসারণ ইস্যুতে কোন সিদ্ধান্তে পৌছাতে পারেনি তারা।
যদিও এক অনুষ্ঠান শেষে বিএনপির মহাসচিব সাংবাদিকদের বলেছেন, সরকার যেন কোন হঠকারী সিদ্ধান্ত না নেয়।
দলটি যদি আগের অবস্থানেই অনড় থাকে তাহলে দীর্ঘ আলোচনার প্রযোজন কি? বিশ্লেষকরা মনে করেন, তা মুলত বিএনপিকেই চাপে রাখার কৌশল। একই সঙ্গে, দ্বন্দ্ব মিটানো না গেলে আগুণ তুষের মতোই জ্বলবে, যা অনাকাঙ্খিত পরিস্থিতি ইঙ্গিত বলেও মনে করেন তিনি।
রাষ্ট্রপতি অপসারণ ইস্যুতে সমন্বয়কদের দেয়া আল্টিমেটামও শেষ। সেনাপ্রধানও দেশে এসেছেন। জামায়াতে ইসলাম রাজী। এখন দেখার বিষয় পরিস্থিতি কোথায় গড়ায়।