প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেটই টেস্টের ব্যর্থতা থেকে মুক্তি দিতে পারে বলে মনে করেন অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। সম্প্রতি শ্রীলংকার বিপক্ষে প্রথম টেস্টে ৩২৮ রানের বিশাল পরাজয়ের পর দ্বিতীয় টেস্টেও টাইগাররা হেরেছে ১৯২ রানে। ঘরের মাঠে এমন অসহায় আত্মসমর্পন থেকে মুক্তি দিতে পারে শুধুমাত্র ঘরোয়া ক্রিকেট। এখানে যত বেশি ম্যাচ খেলা যাবে ততই উন্নতি হবে টাইগারদের টেস্ট ক্রিকেটের।
ঘরোয়া ক্রিকেটে টানা সাদা বলের ক্রিকেট খেলে টেস্ট খেলতে আসায় ব্যাটসম্যানদের প্রস্তুতিটা আদর্শ হয়নি। বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত অবশ্য আধুনিক ক্রিকেটের বাস্তবতায় ক্রিকেট সূচিকে অজুহাত হিসেবে দাঁড় করাতে চান না। শান্ত বলেন, বর্তমান সময়ে যেরকম খেলা চলছে, আমাদের এগুলো মানিয়েই খেলতে হবে। যারা তিন ফরম্যাট খেলে না, তাদের হয়তো প্রস্তুতি একটু নেওয়ার সুযোগ থাকে। এখন সামনে যত খেলাই আছে, আমাদের এভাবেই প্রস্তুতি নিতে হবে। আমরা তিন সংস্করণে কিভাবে মানিয়ে নিয়ে খেলতে পারি সেই চিন্তা করে অনুশীলন, প্রস্তুতি নেওয়া উচিত।
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টেস্ট সিরিজ হারের কারণ খুঁজতে সবার আগে আসবে ফিল্ডিং ও ক্যাচিংয়ের প্রসঙ্গ। নাজমুলও অকপটে উত্তর দিলেন, ‘ফিল্ডিংয়ের বিষয়ে বলব; সবাই যথেষ্ট অনুশীলন করেছে। অনুশীলনে প্রত্যেকটা ক্যাচও নেয়। তবে ম্যাচে ক্যাচগুলো আমরা নিতে পারিনি।’
ব্যাটিংয়ের ক্ষেত্রে নিজেদের ব্যর্থতার দায় মাথা পেতে নিয়েছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক। তাঁর দাবি, নিজেদের সামর্থ্য অনুযায়ী খেলতে পারেননি ব্যাটসম্যানরা, ‘‘পুরো সিরিজে আমরা ভালো ব্যাটিং করিন। অজুহাত দেওয়ার কোনো সুযোগ নেই। অনেক কথা বলা যেতে পারে। কিন্তু দল হিসেবে আমরা দুই ম্যাচের চার ইনিংসে ভালো ব্যাটিং করিনি।’’
দলের এমন পারফরম্যান্স স্বাভাবিকভাবেই খেলোয়াড়রা অনুশোচনায় আছেন। নাজমুলও বললেন, ‘দল খারাপ করার পরে খারাপ লাগাটা কাজ করে এবং কিভাবে এটা আরও ভালো করতে পারে দলের জন্য সেটা সবসময় প্রত্যেকটা প্লেয়ারের মধ্যে থাকে।