সারাদেশে আশ্রয়ণ প্রকল্পের উপহার পেলো ১৮ হাজার ৫৬৬ টি পরিবার। এরমধ্যে দিয়ে ভূমিহীন ও গৃহহীনমুক্ত হলো দেশের ৫৮ জেলা। হস্তান্তর অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী নির্দেশনা দেন, ঘরের প্রতি যত্নশীল হওয়ার। বিপর্যস্ত পৃথিবীতে টিকে থাকার লড়াইয়ে সবার সহযোগিতা চান প্রধানমন্ত্রী।
উৎসবের আনন্দে নাচে প্রাণ, লাল মেহেদী যেন তারই বহিঃপ্রকাশ।
আসমা আক্তার, বয়স কুড়ি পেরোয়নি, টানাটানির সংসারে অল্প বয়সেই বিয়ে। টিকেনি বেশি দিন। এরই মধ্যে আসা কন্যাকে নিয়ে সংগ্রামের জীবন। অবশেষে নিজের ঘরে, নিজের আঙ্গিনা।
কক্সবাজারের ঈদগাঁও উপজেলায় আশ্রয়ণ প্রকল্পের ৫ম ধাপের দ্বিতীয় পর্যায়ে ঘরে পেলো আসমার মতো আরও ২৮১ জন। হৃদয় তাই সেজেছে কৃষ্ণচুড়ার রঙে।
গণভবন থেকে ভার্চুয়াল হস্তান্তর অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ভোলা লালমনিরহাট ও কক্সবাজার ছাড়াও যুক্ত হয় আরও ১৮৮ টি উপজেলা। চাবি ও দলিল হস্তান্তরের পর প্রধানমন্ত্রী কিছু নির্দেশনা দেন। যাতে বলেন, যত্ন নিতে হবে আপন ঘরের।
শেখ হাসিনা বলেন, নাজুক বিশ্ব পরিস্থিতিতে নিজেদেরকেই হাল ধরতে হবে। মাথা উচু করে চলতে হবে। চান সবার সহযোগিতা।
১৯৯৭ থেকে শুরু এই আশ্রয়ণ প্রকল্পে এখন পর্যন্ত জমি ও ঘরের পেয়েছেন প্রায় ৬ লাখ পরিবার। যাতে ঠিকানা পেয়েছে প্রায় ত্রিশ লাখ মানুষ।