দেশের চলমান পরিস্থিতিতে প্রবাসী আয়ে শঙ্কার মেঘ। জুলাই মাসে রেমিট্যান্স কমে, পৌনে দুই বিলিয়নের আশেপাশে থাকবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। অবশ্য, কেন্দ্রীয় ব্যাংক আয় বাড়াতে, শীর্ষ এক ডজন ব্যাংক এমডিকে ডেকে নির্দেশনা দিয়েছে। বিশ্লেষকরা বলছেন, প্রবাসীদের অনাস্থা কাটাতে হবে। অন্যথায়, হুন্ডিতে বাড়বে অর্থপাচার।
গত মাসে ২৫৪ কোটি ডলার প্রবাসী আয় পাওয়া যায়, এ আয় গত তিন বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ। দেশের বৈদেশিক মুদ্রার মজুত যখন চাপে, তখন প্রবাসী আয়ের পরিমাণ স্বস্তির সূচক হয়। তবে, স্বস্তি ধরে রাখা গেল না। হোঁচট খেলো চলতি মাসেই।
কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে কারফিউ, ছুটি, ইন্টারনেট না থাকা, ব্যাংক ব্যবস্থাকে এলোমোলো করে দেয়। ব্যাহত হয় রেমিট্যান্স সংগ্রহ। চলতি মাসে এটি কমে দাঁড়াবে পৌনে দুই বিলিয়ন ডলারের আশেপাশে। বিশ্লেষকরা বলছেন, দেশের পরিস্থিতির কারণে, প্রবাসীরা আস্থা হারিয়েছেন।
অর্থনীতিবিদ ড. আহসান এইচ মনসুর জানান, ২১ থেকে ২৭ জুলাই, এই সময়কালে মাত্র ১৩ কোটি ডলার পাওয়া গেছে প্রবাসী আয়। দেশের সংকটগুলোর সঙ্গে সংযুক্ত আরব আমিরাতে প্রবাসীদের জেল জরিমানা, বিপাকে ফেলেছে প্রবাসী আয় কাঠামোতে। প্রবাসীদের আস্থা ফেরানো না গেলে, হুন্ডি বেড়ে যাওয়ার শঙ্কার কথা বলছেন এই অর্থনীতিবিদ।
বৈদেশিক মুদ্রার মজুত যখন চাপে, তখন প্রবাসী আয়ের পরিস্থিতিতে উদ্বিগ্ন কেন্দ্রীয় ব্যাংকও। রেমিট্যান্স আনায় এগিয়ে থাকা শীর্ষ এক ডজন ব্যাংকের এমডিকে নিয়ে বৈঠক করে, দেয়া হয়েছে নির্দেশনা। প্রয়োজনে প্রতি ডলারে কিছুটা বাড়তি দাম দেয়ার কথাও বলা হয় তাদের।