প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞান গবেষণাগারে সন্ধান মিললো অভিনব এক আস্তানা। ভেতরে চলতো অনৈতিক কার্যকলাপ। পাওয়া গেছে গ্রেগনেন্সি টেস্ট কিট, ও কাটা চুল। গোপন এই ঘরের অবস্থান সাইন্সল্যাবের ব্রিকম ভবনের চতুর্থ তলায়, প্রতিষ্ঠানটির ডিজি ও প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মালা খানের রুমে। এই রুমের দ্বিতীয় পার্টনার প্রতিষ্ঠানটির উপদেষ্টা রবীন্দ্র রায় চৌধুরী।
নাগরিকের অনুসন্ধানে বেরিয়ে আসে এই গোপন কক্ষের খবর। গোপন রুম এমনভাবে ডিজাইন করা, সামনে দাড়ালেও বোঝার উপায় নেই।
বাংলাদেশ রেফারেন্স ইন্সিটিটিউট ফর ক্যামিক্যাল মেজারমেন্ট বা ব্রিকম, প্রতিষ্ঠানটি বিআরআইসিএম বলেই সবার কাছে পরিচিত।
এই প্রতিষ্ঠানের প্রধান মালা খানের নামে দুর্নীতির অভিযোগ বহুপুরনো। তাঁর নিয়োগ থেকে গবেষণা ও পিএইচডি জালিয়াতি, প্রকল্পের টাকা আত্মসাৎের খবরও হজম করেছে। এরপরও ছিলেন, বহাল তবিয়ৎে।
এবার প্রতিষ্ঠানটির শ খানেক বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা কর্মচারীর অভিযোগ তার যৌন বিজ্ঞান চর্চা নিয়ে। আর এজন্য আলাদা একটি গোপন কক্ষও তৈরি করেছেন তিনি। পিয়ন থেকে বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা সবাই বিষয়টি আঁচ করলেও ভয়ে মুখ খুলেনি কেউ।
তবে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর পরিস্থিতি পাল্টায়। তার পদত্যাগের জন্য অন্দোলন শুরু হয়। সঙ্গে সন্ধান মিলে সেই রহস্যময় গোপন কক্ষের।
এই অফিসে বহুদিন ধরে কাজ করেন শিরিন আক্তার ও মাসুদ। তাদের বক্তব্যের সুত্র ধরেই এই গোপন গবেষণাগারের রহস্য উন্মোচন হয়।