15 C
Dhaka
বৃহস্পতিবার, জানুয়ারি ২, ২০২৫

ফারুক খান ও আব্দুর রাজ্জাক ২ দিনের রিমান্ডে

আওয়ামী লীগ সরকারের সাবেক বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী লে. কর্নেল (অব.) ফারুক খান ও সাবেক কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাকের ২ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। পৃথক দুই মামলায় মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) তাদের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।

মঙ্গলবার দুপুরে আব্দুর রাজ্জাককে আদালতে হাজির করে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পল্টন থানার উপ-পরিদর্শক নাজমুল হাচান ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন। রাষ্ট্রপক্ষে মহানগর দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর ওমর ফারুক ফারুকী রিমান্ডের পক্ষে শুনানি করেন। অপরদিকে আসামি পক্ষে আইনজীবীরা রিমান্ড বাতিল ও জামিন চেয়ে আবেদন করেন। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ছানাউল্ল্যার আদালত তার এ রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

একইদিন নিউমার্কেট থানার মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে লে. কর্নেল (অব.) ফারুক খানকে আদালতে হাজির করে ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা পল্টন থানার উপ-পরিদর্শক নাজমুল হাচান। রিমান্ডের পক্ষে রাষ্ট্র পক্ষে ঢাকা মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটর ওমর ফারুক ফারুকী শুনানি করেন। আসামি পক্ষে শ্রী প্রাণনাথসহ প্রমুখ আইনজীবী রিমান্ড বাতিল পূর্বক জামিনের আবেদন করেন। দুই পক্ষের শুনানি শেষে ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ছানাউল্ল্যহ দুই দিনের রিমান্ড আদেশ দেন।

এর আগে সোমবার (১৪ অক্টোবর) দিবাগত রাতে ফারুক খানকে গ্রেপ্তারের পর ডিবি পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‍্যাব)। অন্যদিকে রাজধানীর ইস্কাটন এলাকা থেকে সোমবার রাত পৌনে ৮টার দিকে আব্দুর রাজ্জাককে গ্রেপ্তার করা হয়।

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে গোপালগঞ্জ-১ আসন (মুকসুদপুর ও কাশিয়ানী উপজেলার ৭ ইউনিয়ন) থেকে জয়লাভের পর বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পেয়েছিলেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য লে. কর্নেল (অব.) ফারুক খান।

অন্যদিকে আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও সাবেক কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক সর্বশেষ সংসদে টাঙ্গাইল থেকে নির্বাচিত সদস্য ছিলেন। তিনি আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য। তিনি খাদ্য ও কৃষিমন্ত্রী হিসেবে তিনি দায়িত্ব পালন করেছেন। তবে শেখ হাসিনার সর্বশেষ মন্ত্রিসভায় তার স্থান হয়নি। 

বিজ্ঞাপন

আরও পড়ুন

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

বিশেষ প্রতিবেদন