বগুড়ায় দলীয় কার্যালয়ে হামলার ঘটনায়, জেলা আওয়ামী লীগের কর্মীদের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। গত ১৬ জুলাই টানা চার ঘন্টা দলের কার্যালয় ও আশপাশের বেশকিছু স্থাপনায় ব্যাপক ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ চালালেও, নিজেদের ঘর বাঁচাতে আসেননি বগুড়া জেলা আওয়ামী লীগের কেউই।
বগুড়ায় গত ১৬ জুলাই টানা ৪ ঘন্টার তাণ্ডবে ক্ষতিগ্রস্ত হয় আওয়ামী লীগ অফিসের পাশাপাশি জাসদ অফিস, টাউন ক্লাব, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, পোস্ট অফিস, মুজিব মঞ্চ, বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতি ও ম্যুরালসহ বেশকিছু স্থাপনা।
দীর্ঘসময় হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটলেও, সেদিন পুলিশ যেমন ছিলো নিশ্চুপ, একইভাবে দলের নেতাকর্মীদেরও দেখা মেলেনি।
এসব ঘটনার মামলায় বেশ কয়েকজন আসামীর নাম নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। দলেরই ৩ নেতাকর্মীসহ কয়েকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রধানকে করা হয়েছে আসামি।
পুলিশ সুপার জাকির হাসান জানান, বগুড়ায় টানা কয়েকদিনের সংঘর্ষ ও তাণ্ডবে একজন নিহত ছাড়াও, শতাধিক আহত হন। সেসব ঘটনায় দায়েরকৃত মামলায় ইতিমধ্যে ১৭০ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
তবে নিরাপরাধদের প্রমাণ সাপেক্ষে ছেড়ে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।