ভয়াবহ বন্যায় অন্যতম ক্ষতির সম্মুখিন হয়েছে বিদ্যালয়গুলো। শ্রেণিকক্ষ,বই-খাতা, পোশাক, সব মিলিয়ে কুমিল্লায় বন্যা, শিক্ষাক্ষেত্রে রেখে গেছে ব্যাপক ক্ষতের দাগ। এমন পরিস্থিতিতে সন্তানদের শিক্ষাজীবন নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন অনেক অভিভাবক ও শিক্ষাসংশ্লিষ্টরা।
শিক্ষা বিভাগের তথ্য মতে, কুমিল্লায় প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ের ৭ শতাধিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ হয়। এর মধ্যে মেরামত করা ছাড়া পাঠদান চালু করা যাবেনা ৪৩২টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে। ফলে শীঘ্রই চালু করা যাচ্ছে না এসব প্রতিষ্ঠান।
এর আগেও কয়েক দফা বন্ধ ছিলো শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। দেশের নানা পরিস্থিতির কারনে শিশুদের লেখাপড়ার উপর ব্যাপক প্রভাব ফেলছে। যা তাদের মানসিকতার উপর দীর্ঘমেয়াদি সমস্যার সৃষ্টি করতে পারে আশংকা করচ্ছেন অভিভাবক সমাজ।
বন্যায় শিক্ষার প্রতিষ্ঠানের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হলেও দ্রুত তা সমাধান করে শিক্ষার্থীদের বিদ্যালয় মুখী করার চেষ্টার কথা জানান শিক্ষকরা।
বন্যার পানি ও আশ্রয় কেন্দ্রের কারনে অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ এবং ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। নষ্ট হয়েছে যাতায়াতের রাস্তা, এসব সংকটের মধ্যেও সহসাই খোলা হচ্ছে সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠা বলে জানান এ কর্মকর্তা।
জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ রফিকুল ইসলাম বলেন, যেকোন সংকটময় পরিস্থিতি থেকে দেশের শিক্ষা ব্যবস্থাকে রক্ষা করতে হবে।