শুধুমাত্র বি-টাউন নয় বলিউডের ‘ড্রিম গার্ল’ হেমা মালিনী রাজনৈতিক এবং সামাজিক জীবনেও তাঁর দক্ষতার ছাপ রেখেছেন। এমনিতেই বলিউডে নায়িকার অভাব নেই। ঝড় তুলেছেন তাঁরা ৮ থেকে ৮০-র হৃদয়ে। কিন্তু ‘ড্রিম গার্ল’ হেমা মালিনীর আবেদন আজও অমলিন। বয়স ৭৪। তাতে কী? আজো সবচেয়ে সুন্দরী মহিলাদের মধ্যে অনায়াসে জায়গা করে নেবেন শোলে-র বাসন্তী। চলুন দেখে নেওয়া যাক, তাঁর সম্পর্কে কিছু অজানা তথ্য।
তামিল ছবি দিয়ে ক্যারিয়ার শুরু করলেও বলিউডে ‘শোলে’, ‘সীতা ঔর গীতা’, ‘মিরা’, ‘কিনারা’, ‘সন্ন্যাসী’, ‘মেহবুবা’, ‘ড্রিম গার্ল’, ‘প্রেম নগর’, ‘খুশবু’, ‘বাগবান’-এর মতো ছবি দিয়েই প্রমাণ করেন তিনি ‘স্টার ম্যাটেরিয়াল’। ১৯৭৭ সালে মুক্তি পায় হেমা মালিনী অভিনীত ‘ড্রিম গার্ল’ ছবিটি। এতে ‘ড্রিম গার্ল’-এর ভূমিকায় অভিনয় করে তার মনকাড়া রূপের জাদুতে হয়ে যান বলিউডের ড্রিম গার্ল।
দক্ষিণ ভারতীয় পরিবারে জন্মগ্রহণ করলেও হেমার মা ছিলেন বাঙালি। হেমা শৈশব থেকেই ফিল্মে অভিনয় করতে চাইতেন। ফলে দশম শ্রেণিতে উঠে তিনি পড়াশোনা ছেড়ে দেন। এর পরেই হেমা মাকে নিয়ে বম্বেতে চলে যান। হেমাকে বলিউড বিমুখ করেনি। ১৯৬৮ সালে রাজ কাপুরের বিপরীতে ‘স্বপ্নো কা সওদাগর’ ফিল্মে হেমা ডেবিউ করেন। তবে তার অভিনয় প্রশংসিত না হলেও বম্বের প্রযোজকরা তার সৌন্দর্যের প্রশংসা করেন। কিন্তু হেমা বুঝতে পেরেছিলেন শুধু রূপ দিয়ে বলিউডে টিকে থাকা সম্ভব নয়। ফলে নিজের অভিনয় ও হিন্দি ভাষাকে ক্ষুরধার করতে শুরু করেন তিনি। তার পরিশ্রম সার্থক হয়েছিল। পরবর্তীকালে দেব আনন্দের বিপরীতে হেমার ফিল্ম ‘জনি মেরা নাম’ ও ধর্মেন্দ্রর বিপরীতে ‘তুম হাসিন ম্যায় জওয়ান’ সুপারহিট হয়েছিল।
তখন বলিউডে পুরুষ শাসন চলছে। একের পর এক তারকার জয়জয়কার। এরই মধ্যে পাল্লা দিয়ে শীর্ষ ১০ উপার্জনকারী শিল্পীর তালিকায় চলে আসেন হেমা মালিনী। ১৯৭১ থেকে ১৯৭৫ সালের মধ্যে বলিউডের চতুর্থ সর্বাধিক উপার্জনকারী শিল্পী ছিলেন তিনি।
ধর্মেন্দ্র-হেমা মালিনীর প্রথমবার পর্দা ভাগাভাগি ১৯৭০ সালে, ‘তুম হাসিন ম্যায় জাওয়ান’ সিনেমায়। দুজনে একসঙ্গে অসংখ্য ছবিতে অভিনয় করেছেন। সেই সূত্রে প্রেম। যদিও জিতেন্দ্রর সঙ্গে বিয়ে ঠিক হয়ে যাওয়ার পর একদম শেষ মুহূর্তে নাকি তা ভেঙে দেন হেমা। পরিবারে অমতে, বিবাহিত তারকা ধর্মেন্দকেই ধর্মান্তরিত হয়ে বিয়ে করেন হেমা মালিনি। শোনা যায়, আজও ধর্মেন্দ্রর পৈতৃক ভিটেতে ঢোকবার অধিকার পাননি হেমা। বিয়ের ৪৪ বছর পরেও সেই অধিকার থেকে বঞ্চিত অভিনেত্রী।
অভিনয়ে সফল হলেও নাচই হেমার জীবনের মূলমন্ত্র। নাচই তাঁর প্রথম ভালোবাসা। নাচে পটু হেমা ভারতীয় সব ধরনের নাচে দক্ষ। পশ্চিমা ঘরানার কিছু নাচও জানা আছে তাঁর। মোট ১১ বার ফিল্ম ফেয়ার পুরস্কারে সেরা অভিনেত্রী হিসেবে মনোনয়ন পান। ২০০০ সালে তিনি পদ্মশ্রী সম্মাননা লাভ করেন।
এনএ/