প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীন বাংলাদেশ জরিপ অধিদপ্তরে বাস্তবায়নাধীন “বাংলাদেশের উপজেলাসমূহের ডিজিটাল মানচিত্র (টপোগ্রাফিক) প্রণয়ন” শীর্ষক প্রকল্পের সেমিনার বুধবার ১৮ ডিসেম্বর রাজশাহীর গ্র্যান্ড রিভার হোটেলে অনুষ্ঠিত হয়। সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে রাজশাহীর বিভাগীয় কমিশনার অতিরিক্ত সচিব জনাব খোন্দকার আজিম আহমেদ, এনডিসি; বিশেষ অতিথি হিসেবে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এ কে এম ফজলুর রহমা্ন, এনডিসি, এফডব্লিসি,পিএসসি উপস্থিত ছিলেন।
সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ড. মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান, সহযোগী অধ্যাপক, নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা বিভাগ, রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল নুর-এ-আলম মোহাম্মদ যোবায়ের সারোয়ার, এনডিসি, পিএসসি, সার্ভেয়ার জেনারেল অব বাংলাদেশ।
সার্ভেয়ার জেনারেল অব বাংলাদেশ সভাপতির বক্তব্যে বাংলাদেশ জরিপ অধিদপ্তরের কার্যাবলী এবং জাতীয় উন্নয়নে “বাংলাদেশের উপজেলাসমূহের ডিজিটাল মানচিত্র (টপোগ্রাফিক) প্রণয়ন” শীর্ষক প্রকল্প সম্পর্কে আলোকপাত করেন এবং দেশের উন্নয়নে উপজেলা ম্যাপের প্রয়োজনীয়তার উপর গুরুত্বারোপ করেন।
সেমিনারের প্রধান অতিথি জনাব খোন্দকার আজিম আহমেদ. এনডিসি তার বক্তব্যের শুরুতে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধসহ বিভিন্ন সময়ে সংঘটিত গণতান্ত্রিক আন্দোলনে আত্মত্যাগকারী বীর শহীদ এবং ২০২৪ এর জুলাই-আগস্ট বিপ্লবে সকল শহীদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন। স্বাধীনতা লাভের পর বিভিন্ন পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে ১৯৭৬ সালে স্থানীয় সরকার অধ্যাদেশ অনুযায়ী থানা পরিষদ গঠিত হয়। ১৯৮২ সালে থানাকে উপজেলায় রুপান্তরিত করা হয়। উপজেলা হলো বাংলাদেশের প্রশাসনিক ব্যবস্থায় একটি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ একক।
এই প্রকল্পের মাধ্যমে সমগ্র দেশের সকল উপজেলার টপোগ্রাফিক মানচিত্রের ভৌগলিক তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ পূর্বক জিআইএস ডাটাবেইজ এবং ডিজিটাল টপোগ্রাফিক মানচিত্র প্রস্তুত করা হচ্ছে যা দেশের টেকসই উন্নয়ন এবং আর্থ সামাজিক উন্নয়নের জন্য অপরিহার্য্য। প্রস্তুতকৃত ম্যাপ ও ভূ-স্থানিক তথ্য-উপাত্ত ব্যবহার করে যে কোন স্থানের সম্ভাব্যতা যাচাইসহ বিভিন্ন সরকারী/বেসরকারী/স্বায়ত্বশাসিত সংস্থার উন্নয়ন পরিকল্পনা প্রনয়ন ও এর যথাযথ বাস্তবায়নকে ত্বরান্বিত করা যাবে।
প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীন এ সংস্থাটি তাঁর নিজস্ব কারিগরিভাবে দক্ষ জনবল ও আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে প্রকল্পটিকে সফল ও অর্থবহ করতে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। প্রকল্পের মাধ্যমে প্রস্তুতকৃত তথ্য-উপাত্তসমূহ নগর পরিকল্পনা, পরিবেশ ব্যবস্থাপনা, জনস্বাস্থ্য, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা, কৃষি, পরিবহন ইত্যাদি ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ সহায়ক ভুমিকা রাখবে। তিনি স্থানীয় প্রশাসনকে উক্ত প্রকল্পের তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করে কর্মক্ষেত্রে ব্যবহারের মাধ্যমে উন্নয়ন কার্যক্রম ত্বরান্বিত করার পরামর্শ প্রদান করেন।
টিএ/