বাংলাদেশের ব্যাটিংয়ের হতশ্রী দশাটা দিনদিন যেন বেড়েই চলেছে। ভরসার জায়গাটা নেই বললেই চলে। যাদের দিকে তাকিয়ে দল, তারাই যেন বড় হতাশার কারণ। বিশেষ করে টপ অর্ডারের অবস্থা যাচ্ছে তাই। এমন ক্রিকেট দিয়ে জিম্বাবুয়েকে হারানো গেলেও অন্তত বিশ্বকাপের প্রস্তুতি হয় না।
দলটার মধ্যে নামি-দামি, তারকা সবই আছে। শুধু নেই ভরসা জায়গা। যেখানে বিশ ওভারের ম্যাচে অনায়াসেই ১৬০-৭০ কিংবা ২০০ রান করছে অন্য দলগুলো। সেখানে দেড়শ করতেই হাসফাস অবস্থা বাংলাদেশের। তাও আবার জিম্বাবুয়ের মত দলের বিপক্ষে।
চতুর্থ টি-টোয়েন্টিতে উদ্বোধনী জুটিতে ১১ ওভারে ১০০ রান তুলে ফেলেছিলেন সৌম্য সরকার ও তানজিদ হাসান। ১০১ রানের এই জুটি ভাঙার পর তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ে বাংলাদেশের ইনিংস। ৫২ বলের মধ্যে ১০ উইকেট হারায় মাত্র ৪২ রানে।
এটাই যেন দলের বর্তমান চেহারা। দুই ওপেনারের পর তিনে নামা তাওহিদ হৃদয়ের ১২ রানই দলের সর্বোচ্চ। আর কোনো ব্যাটসম্যান দু অঙ্ক ছুঁতে পারেননি। পরে এর কারণ হিসেবে অদ্ভুত এক অজুহাত দাঁড় করান সৌম্য সরকার।
ম্যাচের নানা বাঁকে ফিরে গেলে হতাশার উপকরণ মিলবে আরও। বোলিংয়ে জিম্বাবুয়েকে বাগে পেয়েও নাকাল করতে না পারা আরেক ব্যর্থতা।
চট্টগ্রামে টানা তিন ম্যাচ জিতলেও ভালো ক্রিকেট উপহার দিতে পারেনি বাংলাদেশ। স্বপ্ন ছিল ঢাকায় সেই আক্ষেপটা দূর করার। তবে মিরপুরের শেরে বাংলায় মুদ্রার উল্টো পিঠ দেখালো টাইগাররা।