উত্থান-পতনের মিশ্র প্রতিক্রিয়ায় রয়েছে দেশের শেয়ারবাজারে। বিদায়ী সপ্তাহে সূচক-লেনদেন সামান্য বাড়লেও কিছুটা আতঙ্ক তৈরি করেছে শেষদিনের বড় কারেকশন।
শেয়ারবাজার ভালো করতে আইসিবির অর্থ বরাদ্দকে কেন্দ্র করে নতুন করে প্রাণ ফিরে পায় দেশের শেয়ারবাজার। গেল সপ্তাহের বেশিরভাগ দিনই সূচক বাড়লেও শেষদিনের অতিরিক্ত কারেকশন, তৈরি করেছে শঙ্কা।
শেয়ার কারসাজিতে আবুল খায়ের হিরু গংদের বিপুল পরিমাণ অর্থ জরিমানাকে কেন্দ্র করে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে তৈরি হয়েছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া। বিগত সরকারের ছত্রছায়ায় যারা শেয়ার কারসাজিতে জড়িত ছিলেন তারাই থাকছেন প্রধান টার্গেটে।
এদিকে শেষদিনে সূচকের ব্যাপক পতন হলেও চলতি ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহ কেটেছে ইতিবাচক প্রবণতায়। বিদায়ী সপ্তাহে সূচক বেড়েছে ৪ দশমিক ২৩ পয়েন্ট বা দশমিক ০৮ শতাংশ। এছাড়া দৈনিক লেনদেন বেড়েছে ৩১৫ কোটি টাকা। তবে বাজার মূলধন কমেছে ৬৫১ কোটি টাকা।
গেইনারের শীর্ষে উঠে আসা ড্রাগন সোয়েটারের সপ্তাহজুড়ে দর বৃদ্ধি পেয়েছে ৩৮ দশমিক ৫৫ শতাংশ। দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা মিরাকল ইন্ডাষ্ট্রিজের দর বেড়েছে ২৮ দশমিক ৪১ শতাংশ। এছাড়া সবচেয়ে বেশি দর হারিয়েছে এমারেল্ড অয়েল। নিউ লাইন ক্লোদিং এবং বিআইএফসি শেয়ারও ছিল পতনের ধারায়।
বিদায়ী সপ্তাহে সেক্টর বিবেচনায় সবচেয়ে বেশি লেনদেন বেড়েছে মিউচ্যুয়াল ফান্ড, সিরামিক এবং কাগজ ও প্রকাশনা খাতে। অন্যদিকে করপোরেট বন্ড, জুট এবং সিমেন্ট খাতে লেনদেন কমেছে অনেক।
এদিকে ডিএসইর সার্বিক মূল্য আয় অনুপাত বা পিই রেশিও কমে দাঁড়িয়েছে ৯.৪৪ পয়েন্ট। প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের সক্রিয়তা বাড়লে আতঙ্ক দূর হয়ে গতি বৃদ্ধি পাবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
টিএ/