নতুন বাজেট দিয়ে দ্রব্যমূল্যে লাগাম টানতে চান অর্থমন্ত্রী। গত আড়াই বছর ধরে সরকারি হিসাবেই মূল্যস্ফীতি ১০ শতাংশের মতো। যা সাড়ে ৬ শতাংশে নামানোর লক্ষ্য। চড়া বাজারের বাস্তবতায়, চলতি অর্থবছরের থেকে কিছুটা বাড়িয়ে, এই লক্ষ্য ঠিক করতে হচ্ছে।
জিনিসপত্রের দামের কারণে মানুষ সংসার খরচ মেটাতে হিমশিম খাচ্ছে। যদিও সরকারের হিসাবে, মানুষের আয় বেড়েছে, মজুরিও বেড়েছে। কিন্তু সবই কাগজে-কলমের হিসাব। অনেক মানুষ তার সঞ্চয় তুলে জীবন যাত্রার ব্যয় সামাল দিচ্ছেন।
নতুন বাজেটে, অর্থমন্ত্রী শোনাবেন স্বস্তির লক্ষ্য ঠিক করার কথা। ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেট দিয়ে, মূল্যস্ফীতির হার সাড়ে ৬ শতাংশে নামানোর কথা জানাবেন। ঠিক করা এ লক্ষ্য আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহার থেকে নেয়া।
সরকারের হিসাবে গত আড়াই বছর মূল্যস্ফীতির হার ১০ শতাংশের কাছাকাছি। আর বেসরকারি হিসাবে, তা অনেকটা বেশি, কোনো কোনো পণ্যে তা কয়েকগুণ বেশি। বাজারের প্রকৃত চিত্র কী, তার হিসাব নেই সরকারের কাছে।
চলতি অর্থবছরে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের কথা বলেছিলেন সাবেক অর্থমন্ত্রী। তিনি আশা করেছিলেন, এটি ৬ শতাংশের কাছকাছি থাকবে। এবার কিছুটা বাড়িয়ে, লক্ষ্য ঠিক করতে হচ্ছে অর্থমন্ত্রীকে।
বাজেটে অর্থমন্ত্রী কোথা থেকে আয় করবেন, কোথায় ব্যয় করবেন, তা নিয়ে প্রান্তিক মানুষের আগ্রহ নেই বললেই চলে। কেবল তাদের আশা, জিনিসপত্রের দামদর যেনো কমে আসে, বাজেটে সেই পদক্ষেপ নেয়া হোক।