বান্দরবানে পৃথক স্থানে সংবাদ সম্মেলন করেছে সাংগ্রাই উৎসব উদযাপন পরিষদ ও রামজাদি কতৃপক্ষ জমির জবরদখলে বিরুদ্ধে প্রতিবাদ ও প্রতিকার চেয়েছে ভুক্তভোগী পরিবার।
আজ মঙ্গলবার সকালে চড়ুই ভাতি রেষ্টুরেন্ট ও প্রেসক্লাব সভা কক্ষে এই সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
শুরুতেই আসন্ন বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের অন্যতম সংস্কৃতি উৎসব মাহাঃ সাংগ্রাই পোয়েঃ উপলক্ষে নানা কর্মসূচি নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছে উৎসব উদযাপন পরিষদ।
সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন সাংগ্রাই উৎসব উদযাপন পরিষদের সভাপতি চনুমং মারমা।
সভাপতি চনুমং মারমা বলেন, আসন্ন সাংগ্রাই উৎসবকে ঘিরে ৮ দিন ব্যাপী নানা কর্মসূচি হাতে নিয়ে উদযাপন কমিটিরা। ১৩ তারিখে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রার মাধ্যমে সাংগ্রাই আনুষ্ঠানিকতা শুরু হবে। এরপর বয়োজ্যেষ্ঠ পুজাসহ পিঠা তৈরী হবে শহরে অলিগলিতে। রাজার মাঠ প্রাঙ্গনে মুল আকর্ষণ পানি মৈত্রী বর্ষণ তিনদিন ধরে অনুষ্ঠিত হবে। এদিনে মাঠ গুলোতে স্টল প্রস্তুত থাকবে। এছাড়াও মাঠে প্রবেশে প্রতিটি কমিটি সদস্যদের আইডি কার্ড ও গণমাধ্যম কর্মীদের জন্য আইডি কার্ডের জন্য ব্যবস্থা করা হয়েছে। তাই গণমাধ্যম কর্মীসহ জেলা সর্বস্তরের মানুষকে অনুষ্ঠান সাফল্য করতে সহযোগীতা করার আহ্বান জানান তিনি।
অন্যদিকে জেলা প্রেসক্লাব সভা কক্ষে রামজাদি কতৃপক্ষে জমির জবরদখলে বিরুদ্ধে প্রতিবাদ ও প্রতিকার চেয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছে ভুক্তভোগী পরিবার।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত পাঠ করেন বান্দরবান বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সাইং সাইং উ নিনি।
সম্মেলনে সাইং সাইং উ নিনি অভিযোগ করে বলেন, ১৯৯৩ সালে তংপ্রু পাড়া এলাকায় ৪৪নং হোল্ডিং থেকে ৫ একর জায়গা মালিক ম্যাক্রং থেকে ক্রয় করেন। বিক্রেতা অসুস্থতা ও সন্তানদের ভরণ পোষণের জন্য প্রয়াত রাজা মংশৈপ্রু অনুরোধে ৭০ হাজার টাকা দিয়ে তৃতীয় শ্রেনী জমি ক্রয় করে ফেলে স্বামী গুণ মনি। ক্রয়ের পর থেকে তারা ভোগ দখল করে আসছিলেন। পরে জমিটি রেজিষ্ট্রেশন কাজ শুরু আগে মারা যায় বিক্রেতা ম্যাক্রং। পরবর্তীতে ম্যাক্রং ছেলে খদুই অংসহ মোট পাঁচ ভাইবোনকে অতিরিক্ত ১৫ হাজার টাকা দিয়ে দলিলে কাজ শুরু করে। সরকারে আইন অনুযায়ী ভূমিহীন না হওয়ার প্রেক্ষিতে ৫০ শতক রেখে তারা না দাবি জানিয়ে দলিল সম্পন্ন হয়।

ভুক্তভোগী সাইং সাইং উ নিনি অভিযোগ করে আরো বলেন, তাদের ক্রয়কৃত ৫০ শতক জায়গা ইতিমধ্যে বিক্রিত ছেলে খদুই অং পূণরায় প্রয়াত উচহ্লা ভান্তে কাছে বিক্রির চেষ্টা করে। এরপর রোয়াংছড়ি উপজেলা প্রশাসন জমিটি মাপার পর বিক্রয় ও অবৈধ দখল বলে আবেদন বাতিল ও খারিজ করে দেন। পরবর্তীতে সুমনা ভান্তে, চথুই প্রু ও বাচ মং নেতৃত্বে আবারোও জোড়পূর্বকভাবে অবৈধভাবে ভাড়া লোক দিয়ে জমি দখলে চেষ্টা করে। শুধু তাই নয় তাদের চলাচল সড়কটি ঢালাই দিয়ে বন্ধ করে। এরপর আদালতে নির্দেশে আবার সেই চলাচলের পথ খুলে দেয়া হয়। রামজাদি কতৃপক্ষ কতৃক তাদের ভূমি দখলের সম্পূর্ণ বে আইনি বলে অভিযোগ করে তিনি। তাই সঠিক বিচার ও সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে প্রশাসন ও গণমাধ্যমকর্মীদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানান তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে প্রেসক্লাবে সভাপতি আমিনুল ইসলাম বাচ্চু,প্রথম আলো প্রতিনিধি সিনিয়র সাংবাদিক বুদ্ধজ্যেতি চাকমাসহ গণমাধ্যমকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
পড়ুন: বান্দরবানে আবারো ৯ তামাক চাষীকে অপহরণে অভিযোগ
দেখুন: বান্দরবানে কেএনএফের ভয়ে গ্রামছাড়া আরও ১১ পরিবার |
ইম/