বান্দরবানের বহু আলোচিত দুর্নীতিবাজ জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও পার্বত্য জেলা পরিষদের সদস্য লক্ষীপদ দাসকে গ্রেপ্তারের পর কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত।
আজ বুধবার (২৬ মার্চ) সকালে জেলা ও দায়রা জজ আদালতের তোলার পর কারাগারে পাঠানো নির্দেশ দেন সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে বিচারক ফাতেমা তুজ জোহরা।
এর আগে তাকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সদস্যরা কঠোর নিরাপত্তা দিয়ে স্বাস্থ্য পরিক্ষা নিরীক্ষা জন্য সদর হাসপাতালে নেয়া হয়। পরে তাকে আদালতে তোলার পর কারাগারে পাঠানো হয়।

আইনশৃঙ্খলা বাহিনী জানিয়েছে, ৫ই আগষ্টে গণ অভ্যুত্থানের পর বান্দরবানে আওয়ামী লীগের এই নেতার বিরুদ্ধে বিভিন্ন নাশকতা ও ভাঙচুরের ঘটনায় ৫টি মামলা রয়েছে। এরই প্রেক্ষিতে গতকাল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কেরানীগঞ্জ এলাকায় অভিযান চালিয়ে বান্দরবান জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও পার্বত্য জেলা পরিষদের সদস্য লক্ষীপদ দাসকে গ্রেপ্তার করে মিরপুর পুলিশ। আজ সকালে বান্দরবানে আদালতে প্রেরণ করা পর তাকে কারাগারে পাঠানো নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
জানা যায়, গত ১৭ বছরের ফ্যাসিবাদী সরকার আমলে বিভিন্ন দপ্তর থেকে দুর্নীতি চালিয়েছিল এই আওয়ামী লীগের নেতা লক্ষীপদ দাশ। শুধু তাই নয় বৈষম্যের বিরোধী ছাত্রদের উপর নানাভাবে হামলা ও ক্ষমতার প্রভাব খাটিয়ে সাধারণ মানুষের উপর নির্যাতন ও নিপীড়ন চালিয়েছিল এই নেতা।
বান্দরবানের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম) আব্দুল করিম জানান, বিভিন্ন নাশকতার মামলায় ঢাকায় থেকে বান্দরবান আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক লক্ষীপদ দাশকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সকালে ঢাকা থেকে বান্দরবানে আনার পর আদালতে তোলা হলে তাকে কারাগারে পাঠানো নির্দেশ দিয়েছে।
এনএ/