বিচারপতি অপসারণে সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল গঠনের বিধান ফিরিয়ে আনার যে রায় সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ সাত বছর আগে দিয়েছিল, পর্যালোচনার পর সেই সিদ্ধান্তই বহাল রেখেছে সর্বোচ্চ আদালত।
সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী অবৈধ ঘোষণা করে আপিল বিভাগের দেওয়া ওই রায় পুনর্বিবেচনার (রিভিউ) আবেদন করেছিল রাষ্ট্রপক্ষ। প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বে ৬ বিচারপতির আপিল বেঞ্চ রোববার শুনানি শেষে কিছু নির্দেশনাসহ তা নিষ্পত্তি করে দিয়েছে।
বিচারপতি অপসারণ প্রক্রিয়া নিয়ে গত সরকারের সময় যে জটিলতা তৈরি হয়েছিল, এই রিভিউ রায়ের মধ্য দিয়ে তার অবসান ঘটল বলে আইনজীবীরা মনে করছেন।
বহুল আলোচিত বিচারপতিদের অপসারণের ক্ষমতা সংসদ সদস্যদের হাতে এনে সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী অবৈধ ও বাতিল ঘোষণা করে দেওয়া আপিল বিভাগের রায়ের বিরুদ্ধে রিভিউ আবেদন শুনানির দিন গত ১৫ আগস্ট আজকের দিন ধার্য করা হয়। প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বে ৫ বিচারপতির আপিল বেঞ্চ এ দিন ধার্য করেন।
আদালতে রিভিউ আবেদন শুনানির জন্য উপস্থাপন করেন রিটকারী আইনজীবী অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ।
এর আগে বেশ কয়েকবার সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী অবৈধ ও বাতিল ঘোষণা করে দেওয়া আপিল বিভাগের রায়ের বিরুদ্ধে রিভিউ আবেদন কার্যতালিকায় এলেও শুনানি হয়নি।
রাষ্ট্রপক্ষের করা এ রিভিউ আবেদনটি আজ খারিজ হওয়ায় বিচারপতিদের অপসারণসংক্রান্ত ‘সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল’ পুনর্বহাল হলো। এতে দুর্নীতিগ্রস্ত ও কর্মে অসামর্থ্য বিচারপতিদের অপসারণের পথ সুগম হবে বলে মনে করছেন আইন বিশেষজ্ঞরা।
সম্প্রতি আওয়ামী লীগের ফ্যাসিস্ট বিচারক উল্লেখ করে তাদের পদত্যাগের দাবিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন সুপ্রিম কোর্ট ঘেরাও কর্মসূচি পালন করে। এর পরিপ্রেক্ষিতে ১২ বিচারপতিকে বেঞ্চ দেওয়া হয়নি। তাদের ছুটিতে পাঠানো হয়েছে।