বির্তক যেন পিছুই ছাড়ছে না চট্টগ্রাম নগরের জাসাস সদস্য সচিব এমএ মুছা বাবলুর। গত ৭ সেপ্টেম্বর বিএনপির সাংস্কৃতিক সংগঠন জাতীয়তাবাদী সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংস্থা-জাসাসের এই নেতাকে চিঠিতে শোকজ করা হয়েছিলো। এই শোকজে উল্লেখ করা হয় আওয়ামী লীগ সমর্থিত বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের নেতার সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করা অনৈতিক কাজ।
সম্প্রতি রাজনৈতিক দমন-পীড়নের শিকার ব্যক্তিদের স্মরণে ও আর্ন্তজাতিক গণতন্ত্র দিবস উপলক্ষ্যে চট্টগ্রাম বিভাগীয় বিএনপির শোভাযাত্রা পূর্বক সমাবেশে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে জাসাস।
জাসাস চট্টগ্রাম নগর কমিটির সদস্য সচিব মামুনুর রশিদ সিপন বলেন, বিষয়টি নিয়ে আমরা বিব্রত। বিএনপির অনেক সিনিয়র নেতারা এই বিষয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বলে জানান তিনি। শিল্পী মৌমনি ও ওমর আলি মুনের সাথে চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামীলীগের একাধিক নেতার সাথে ছবি নাগরিক প্রতিনিধি পেয়েছে। তারা আওয়ামীলীগের দলীয় প্রোগ্রামে সরব ছিলেন। সরকার পতনের পর তারা জাসাস নেতা বাবলুর প্রশয়ে বিএনপিতে অনুপ্রবেশের চেষ্টা চালাচ্ছে।
অনুপ্রবেশ নিয়ে বিএনপি কঠোর অবস্থান থাকলেও নগর জাসাসের সদস্য সচিব এম এ মুছা বাবলুর বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা না নেয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন তৃণমূল নেতাকর্মীরা। এর আগে বাংলাদেশ টেলিভিশন চট্টগ্রাম কেন্দ্রে চট্টগ্রামে বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের নেতা শেখ নজরুল ইসলামের ‘মাইজভান্ডারী দর্শন’ গানের শিডিউল ধারণ অনুষ্ঠানে গিয়ে বির্তকের জন্ম দেন বাবলু। এ নিয়ে কেন্দ্রীয় জাসাস থেকে শোকজ করা হয়েছিল তাকে।