20 C
Dhaka
মঙ্গলবার, ফেব্রুয়ারি ২৫, ২০২৫

আম বয়ানে বিশ্ব ইজতেমা শুরু, মুসল্লিদের ঢল

টঙ্গীর তুরাগ নদের তীরে মাগরিবের নামাজের পর আম বয়ানের মধ্য দিয়ে শুরু হয়েছে ৫৮তম বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্ব।বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) মাগরিবের নামাজের পর ভারতের মাওলানা ইব্রাহিম দেওলার আম বয়ানের মধ্য দিয়ে শুরু হয়েছে এবারের বিশ্ব ইজতেমার আনুষ্ঠানিকতা।

তাবলিগ জামাতের শুরায়ে নিজামের মিডিয়া সমন্বয়ক হাবিবুল্লাহ রায়হান জানান, বৃহস্পতিবার বাদ মাগরিব ভারতের মাওলানা ইব্রাহিম দেওলার আম বয়ানের মধ্য দিয়ে শুরু হয়েছে এবারের বিশ্ব ইজতেমার আনুষ্ঠানিকতা। শুক্রবার বাদ ফজর বয়ান করবেন পাকিস্তানের মাওলানা জিয়াউল হক। শুক্রবার সকাল ১০টায় বিভিন্ন খিত্তায় খিত্তায় তালিমের আমল হবে। এরপর অনুষ্ঠিত হবে দেশের বৃহত্তম জুমার নামাজ। এতে ইমামতি করবেন মাওলানা জুবায়ের।

ইজতেমার আয়োজকরা জানান, এবারের ইজতেমার প্রথম পর্ব দুই ভাগে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। ইতিপূর্বে আপনারা জেনে থাকবেন ৩১ জানুয়ারি থেকে ২ ফেব্রুয়ারি প্রথম ধাপ এবং ৩ ফেব্রুয়ারি থেকে ৫ ফেব্রুয়ারি দ্বিতীয় ধাপ অনুষ্ঠিত হবে। দুটি ধাপই শুরায়ে নিজাম তত্ত্বাবধানে অনুষ্ঠিত হবে। প্রথম ধাপে ৪১টি জেলা এবং ঢাকার একাংশ অংশগ্রহণ করবে। দ্বিতীয় ধাপে প্রায় ২২টি জেলা এবং ঢাকার বাকি অংশ অংশগ্রহণ করবে।

এদিকে ইজতেমার প্রথম পর্বে অংশ নিতে বুধবার গতকাল থেকেই ময়দানে আসতে শুরু করেন মুসল্লিরা। বৃহস্পতিবার বাস, ট্রাক, পিকআপ ভ্যান করে ময়দানে আসছেন মুসল্লিরা। ইজতেমা মাঠের প্রায় প্রতিটি প্রবেশপথেই মুসল্লিদের জটলা দেখা গেছে। ঢল নেমেছে মুসল্লিদের। 

গাজীপুরের জেলা প্রশাসক নাফিসা আরেফিন সাংবাদিকদের জানান, ময়দানে আগত মুসল্লিদের আগমন ও স্থান সংকলন করতে আমরা সর্বাত্মক চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। এবারের বিশ্ব ইজতেমাকে সামনে রেখে টঙ্গীর তুরাগ নদের তীরবর্তী সুবিশাল এলাকায় প্রায় ১৬০ একর জমির ওপর তাবলিগ জামাতের সদস্যদের থাকার জন্য বিশাল চটের প্যান্ডেল তৈরি করা হয়েছে। মাঠের উত্তর-পশ্চিম কোণে টিনের চালা দিয়ে নির্মাণ করা হয়েছে বিদেশি মেহমানদের জন্য আবাসন ব্যবস্থা। আন্তর্জাতিক নিবাসে বিদ্যুৎ, গ্যাস ও টেলিফোন সংযোগসহ আধুনিক বিভিন্ন সুবিধাসমূহসহ সর্বাত্মক ব্যবস্থা করা হয়েছে। 

পড়ুন:টঙ্গীতে রণক্ষেত্র বিশ্ব ইজতেমার মাঠ, নিহত ৩
দেখুন:বিশ্ব ইজতেমার দুই পর্বই হবে শুরায়ী নেজামের অধীনে |

ইম/

বিজ্ঞাপন

আরও পড়ুন

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

বিশেষ প্রতিবেদন