বিশ্ব ইজতেমা ময়দান দখলকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে ৩ জন নিহত হয়েছেন। এ সময় আহত হয়েছে অন্তত শতাধিক।
সংঘর্ষে নিহতরা হলেন- কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া থানার এগারসিন্দুর বাচ্চু মিয়া (৭০) ও ঢাকার দক্ষিণ খানের বেড়াইদ এলাকার আ.সামাদের ছেলে বেলাল (৬০) ও বগুড়া জেলার তাইজুল ইসলাম (৬৫)।
বিশ্ব ইজতেমা আহতরা হলেন
আ. রউফ (৫৫), মজিবুর রহমান (৫৮), আ. হান্নান (৬০), জহুরুল ইসলাম (৩৮), আরিফ (৩৪), ফয়সাল (২৮), তরিকুল (৪২), সাহেদ (৪৪), উকিল মিয়া (৫৮), পান্ত (৫৫) টঙ্গী, খোরশেদ আলম (৫০) বেলাল (৩৪), আনোয়ার (৫০), আবু বক্কর (৫৯), আরিফুল ইসলাম (৫০), আনোয়ার (২৬), আনোয়ার (৭৬), ফোরকান আহমেদ (৩৫), আ. রউফ (৫৫) মজিবুর রহমান (৫৮), আ. হান্নান (৬০), জহুরুল ইসলাম (৩৮), আরিফ (৩৪), ফয়সাল (২৮), তরিকুল (৪২), সাহেদ (৪৪)।
তবে নিহত ও আহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। আহতদের মধ্যে ৭ জনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
জানা গেছে, ইজতেমার পূর্ব প্রস্তুতির অংশ হিসেবে ৭ দিনের অবস্থান কার্যক্রম করতে গেলে সাদপন্থী ও জুবায়েরপন্থীদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এ সময় ঘটনাস্থলে একজনের মৃত্যু হয় এবং আহত হন শতাধিক। সাদপন্থীদের অভিযোগ এটা জুবায়েরপন্থীদের কাজ। ইজতেমা ময়দানে এখন সাদপন্থীরা অবস্থান করছে।
এর আগে, গত ১২ ডিসেম্বর তাবলীগ জামাতের জোড় ইজতেমাকে কেন্দ্র করে দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ৪ জন আহত হয়।
এদিকে, আগামী বছর দুই ধাপে বিশ্ব ইজতেমা অনুষ্ঠিত হবে। প্রথম ধাপে ৩১ জানুয়ারি থেকে ২ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত এবং দ্বিতীয় পর্ব ৭ থেকে ৯ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে। ৩ ডিসেম্বর শুরায়ে নেজামের আয়োজনে বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্বের প্রস্তুতি হিসেবে ৫ দিনব্যাপী জোড় ইজতেমা শেষ হয়েছে। ২০ ডিসেম্বর সাদপন্থীরা জোড় ইজতেমা করবেন ও জুবায়েরপন্থীরা করতে দিবে না বলে বিরোধ চলছে। এ অবস্থায় উভয় পক্ষ পাল্টাপাল্টি সাংবাদিক সম্মেলন, সমাবেশসহ নানা কর্মসূচি পালন করছেন। জুবায়েরপন্থীদের সাংবাদিক সম্মেলনের পর সাদপন্থীরাও সম্মেলন করে তাদের অবস্থান ব্যাখ্যা করেন।