বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. রুহুল আমীন ইন্তেকাল করেছেন । ২৪ জানুয়ারি ২০২৫ শুক্রবার ভোর রাতে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। ইন্না লিল্লাহে ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন। নামাজে জানাজা শেষে ময়মনসিংহ জেলা সদরের দাপুনিয়া পশ্চিমপাড়ায় পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭৬ বছর।
মো. রুহুল আমীনের জন্ম ১৯৪৯ সালের ১২ আগস্ট ময়মনসিংহ জেলা সদরের দাপুনিয়া পশ্চিমপাড়ায়। তার মা মরহুমা শামছুন নাহার এবং বাবা মরহুম মনোয়ার আলী মাস্টার। স্ত্রী শামছুন নাহার, তিন পুত্র, তিন কন্যা এবং নাতি-নাতনি নিয়ে ছিল তার পরিবার। তার সন্তানেরা হলেন আবুল কালাম মো. সাখাওয়াত হোসেন (সাংবাদিক), বিলকিস তাহমিনা, তাসলিমা খাতুন (শিক্ষক), এটিএএম রকিবুল হাসান (শিক্ষক), এটিএম মাহদী হাসান (শিক্ষক) এবং জেবীন নাহার (শিক্ষক)।

রুহুল আমীন ময়মনসিংহের নাসিরবাদ স্কুল ও কলেজ থেকে ম্যাট্রিক ও ইন্টারমিডিয়েট সম্পন্ন করেন। এরপর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডিপ্লোমা করেন লাইব্রেরি সায়েন্সে। কলেজে পড়া অবস্থায় ১৯৭১ সালে যোগদান করেন মুক্তিযুদ্ধে। ১১ নং সেক্টরের গেরিলা যোদ্ধা হিসেবে মুক্তিযুদ্ধে ঝাপিয়ে পড়েন তিনি। যুদ্ধে থাকা অববস্থায় তাঁর শিক্ষক বাবা মনোয়ার আলী মাষ্টার ১৯৭১ সালের ডিসেম্বারে নানা নির্যতনের মৃত্যু বরণ করনে।

পেশাগত জীবনে শুরু করেন স্কুল শিক্ষক হিসেবে। তিনি ছিলেন ছাত্রদের প্রিয় শিক্ষক। তাদের আনন্দের সাথে পাঠদান করতেন। নেতৃত্বগুণের পাশাপাশি সাবার সাথে সহজে মিশে যাওয়ার ক্ষমতা ছিলো তার। পরবর্তীতে রুহুল আমীন কর্মকর্তা হিসেবে যোগ দেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে। সেখান ২০১৩ সালে অবসর গ্রহণ করেন তিনি। আল্লাহ-সচেতন, ইতিবাচক এবং বন্ধুবৎসল মানুষ ছিলেন রুহুল আমীন।