বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) সার্বিক ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে বুয়েট শিক্ষক সমিতি। বুয়েটে রাজনৈতিক কার্যক্রম নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত হাইকোর্টে স্থগিত হওয়ায় এর বিপরীতে আপিলের উদ্যোগ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে সংগঠনটি। ২০১৯ সালের ১১ অক্টোবর রাজনৈতিক কার্যক্রম নিষিদ্ধ করে বুয়েট কর্তৃপক্ষের দেওয়া ‘জরুরি বিজ্ঞপ্তির’ বৈধতা নিয়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটির শিক্ষার্থী ইমতিয়াজ হোসেন সম্প্রতি রিট করেন। ১ এপ্রিল হাইকোর্টে বুয়েটের ওই সিদ্ধান্ত স্থগিত করে রায় দেন।
৮ এপ্রিল সমিতির সভাপতি অধ্যাপক মিজানুর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক এ কে এম মনজুর মোরশেদের সই করা ‘বুয়েটের সাম্প্রতিক ঘটনা নিয়ে শিক্ষক সমিতির কার্যনির্বাহী পরিষদের বক্তব্য’ শীর্ষক বিবৃতিটি পাঠানো হয়।
এতে উল্লেখ হয়েছে, রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড নিষিদ্ধ করে দেওয়া জরুরি বিজ্ঞপ্তির কার্যকারিতা স্থগিতের যে রায় হাইকোর্ট দিয়েছেন, তার বিপরীতে আপিল করার বিষয়ে প্রশাসন জরুরিভিত্তিতে উদ্যোগী হবেন এবং এ ব্যাপারে শিক্ষক সমিতি সব ধরনের সহযোগিতা করতে প্রস্তুত রয়েছে।
বিবৃতিতে তারা কয়েকটি পর্যবেক্ষণ দিয়েছেন। এর মধ্যে রয়েছে– প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসসহ শিক্ষক-শিক্ষার্থী-কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নিরাপত্তার দায়িত্ব রেজিস্ট্রার মহোদয়ের। সবার নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করার জন্য রেজিস্ট্রারের মাধ্যমে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণে কর্তৃপক্ষের কাছে জোর দাবি জানানো যাচ্ছে। নিষিদ্ধ-ঘোষিত সংগঠনের ইমেইল পাঠানো শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে উদ্বেগ বাড়িয়েছে। এ ব্যাপারে জাতীয় আইন-প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোর দৃষ্টি আকর্ষণের আহ্বান জানানো হচ্ছে।
তারা আরও উল্লেখ করেন, ২০১৯ সাল পরবর্তী বিগত বছরগুলোতে বুয়েটে শিক্ষা-কার্যক্রম অবাধে চলেছে এবং সুষ্ঠু একাডেমিক পরিবেশ বজায় ছিল। একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার পরিবেশ বজায় রাখা, নিরাপদ রাখা, বিদ্যাচর্চা অক্ষুণ্ণ রাখা সবার দায়িত্ব। শিক্ষক সমিতি এমন পরিবেশই প্রত্যাশা করে। এ অবস্থায় বর্তমান অচলাবস্থা নিরসন এবং স্বাভাবিক একাডেমিক কার্যক্রম চালুর দাবি জানাচ্ছে শিক্ষক সমিতি।