নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলার পূর্বাচলে প্রাইভেট কারের ধাক্কায় বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী মুহতাসিম মাসুদ (২২) নিহতের ঘটনায় হওয়া মামলায় গ্রেপ্তারকৃত তিন আসামির ডোপ টেস্ট (মাদক পরীক্ষা) করা হয়েছে। পরে তাদের আদালতে পাঠানো হয়েছে।
নারায়ণগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) মো. তরিকুল ইসলাম এ তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন।
আসামিদের মধ্যে আছেন প্রাইভেট কারের চালক মুবিন আল মামুন (২০)। তিনি রাজধানীর মিরপুর ডিওএইচএস এলাকার বাসিন্দা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আবদুল্লাহ আল মামুনের ছেলে। গ্রেপ্তারকৃত বাকি দুজন হলেন মিরপুর পীরেরবাগ এলাকার রিজওয়ানুল করিমের ছেলে মিরাজুল করিম (২২) এবং উত্তরা ১৩ নম্বর সেক্টরের বাহাউদ্দিন চৌধুরীর ছেলে আসিফ চৌধুরী।
তারা তিনজনই শিক্ষার্থী। পুলিশ জানিয়েছে, তাদের গাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে একটি মদের খালি বোতল ও এক ক্যান বিয়ার পাওয়া গেছে।
দুপুরে ডোপ টেস্টের পর বেলা সাড়ে তিনটার দিকে তিন আসামিকে নারায়ণগঞ্জ আদালতে নিয়ে আসা হয়। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পূর্বাচল পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ এসআই জাহাঙ্গীর আলম জানান, তিন আসামির পাঁচ দিন করে রিমান্ড চাওয়া হয়েছে।
এর আগে রাত তিনটার দিকে পূর্বাচল ৩০০ ফুটের নীলা মার্কেট (কুড়িল-কাঞ্চন সড়ক) এলাকায় একটি প্রাইভেট কার সজোর ধাক্কা দেয়। এ সময় তল্লাশিচৌকিতে দাঁড়ানো বুয়েটের তিন মোটরসাইকেল আরোহী শিক্ষার্থী গুরুতর আহত হন। ঘটনাস্থলেই মারা যান বুয়েটের কম্পিউটারবিজ্ঞান ও প্রকৌশল (সিএসই) বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র মুহতাসিম মাসুদ। আহত হন মুহতাসিমের দুই সহপাঠী মেহেদী হাসান খান (২২) ও অমিত সাহা (২২)।
এনএ/